কলহার মুখোপাধ্যায়: এক কিলোমিটার চৌহদ্দির মধ্যে তিনজন আক্রান্ত। পরিবার পরিজন নিয়ে তাঁরা আপাতত আইসোলেশনে। আর কতজনের সংস্পর্শে এসেছেন তা এখনও সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় চরম উদ্বেগে সল্টলেকের করুণাময়ী এলাকা ও তার আশপাশের ব্লকগুলির বাসিন্দারা।
তিন আক্রান্তের দু’জন বেলেঘাটার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও বাকি একজন সল্টলেকের ব্রডওয়ের কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাঁদের সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পাঠানো হয়েছে নিউটাউনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন করুণাময়ী হাউসিংয়ের বাসিন্দা। তিনি ব্যাংকের কর্মী। এই সপ্তাহের প্রথম দিকে অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন। করোনা টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁর পুত্র ও স্ত্রীকে নিউটাউন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
দ্বিতীয় আক্রান্ত করুণাময়ীর ইই ব্লকে (EE Block) এক আত্মীয়ের বাড়িতে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন হলদিয়া থেকে। সঙ্গে দুই পুত্রকে নিয়ে এসেছিলেন। হলদিয়াতে অসুস্থ হয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছিল কলকাতায় গিয়ে কোনও হাসপাতালে ভরতি হতে। সে মোতাবেক কলকাতায় এসে সল্টলেকের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। করোনা টেস্টে পজিটিভ আসে। তারপর তাঁর দুই ছেলেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয় আক্রান্তের বাড়ি ডিএল ব্লকে (DL Block)। তাঁর স্বামী প্রাক্তন পুলিশকর্তা। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন সপ্তাহের প্রথমদিকে। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁর স্বামীকেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই তিনটি চমকে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসে বিধাননগর পুরনিগম। জরুরি ভিত্তিতে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পুরো এলাকায় স্যানিটাইজেশনের কাজ চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই এলাকার প্রত্যেকটি ব্লকের বাসিন্দাদের অধিকাংশের অভিযোগ, এখানকার কয়েকজন বাসিন্দার বিদেশ থেকে সম্প্রতি আসার রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও ঠিকমতো স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.