সুব্রত বিশ্বাস: জীবন যাত্রার পুরনো আদব কায়দা বদলে যাচ্ছে করোনার (Corona) ধাক্কায়। গণ পরিবহণ ব্যবহারেরও আসছে একাধিক পরিবর্তন। দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় লোকাল ট্রেনেও একাধিক পরিবর্তন দেখা যাবে। যেখানে সংক্রমণ এড়াতে যাত্রীদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কামরার ভিতরে খেলবে পর্যাপ্ত হওয়া। রাইডিং ইনডেক্স এমন হবে, যে ঝাঁকুনিতে একজন অন্যজনের ঘাড়ে পড়বেন না। আর সেই কারণেই ভোল বদলাচ্ছে ট্রেনের কামরার।
আইসিএফ কোচ ফ্যাক্টরি তাদের নির্মিত রেক বোম্বাডিয়ার কোম্পানিকে দিয়ে একটি আধুনিক রেক প্রস্তুত করাচ্ছে। শিয়ালদহের (Sealdah Railway Station) ডিআরএম এসপি সিং জানান, থ্রি ফেজের এই কনভেনসনাল রেক শিয়ালদহে বেশ কয়েকটা এসেছে। এখন তা আরও আধুনিক ও পরিস্থিতির অনুকূলভাবে তৈরি হয়ে আসছে। একইসঙ্গে শিয়ালদহের সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (টিআরএস) অরুণ শ্রীবাস্তবের কথায়, ডিসি মোটরের পরিবর্তে এগুলি এসি থ্রি ফেজে চলে। কোচের ভিতরে জায়গা বেশি। সামনা-সামনি সিটের দূরত্ব বেশি হওয়ায় যাত্রীদের সংস্পর্শে আসার আশঙ্কাও থাকবে না। এখানেই শেষ নয়, এই ট্রেনের কামরায় ফোর্স ভেন্টিলেশন সিস্টেম থাকায় যাত্রীদের ভিড় থাকলেও বাইরে থেকে বেশি হওয়া ঢুকবে। এজন্য মাথার উপরে থাকছে এয়ারডাকও। ভিড় কম থাকলে হওয়ার তেজ কমে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
এছাড়াও মহিলা কামরায় থাকছে সিসিটিভি। যা প্রয়োজন ব্যতীত কারওর নজরে আসবে না। বিপত্তি হলেই সেই রেকর্ড দেখা যাবে। ফলে কামরার ভিতর সাধারণ কেউ তা দেখবে পাবে না। এতে ট্রেনের মধ্যে অপরাধ রোখা যাবে বলেই আশা। এখানেই শেষ নয়, নয়া অত্যাধুনিক রেকে রি-জেনারেটিং ব্রেকিং সিস্টেম থাকায় এনার্জি এফিসিয়েন্ট হবে। মানে কিছু শক্তি ফিরে আসবে নষ্ট না হয়েই। ট্রেনগুলির ত্বরণ ও মন্দন এজন্য বেশি। ট্রেন ছাড়ামাত্র গতি বাড়া ও ব্রেক কোষলে সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়তে অসুবিধা হবে না। ট্রেন চললে জারকিং হবে না। ফলে ট্রেনে হেলে-দুলে একে অন্যের উপর পড়ার মতো ঘটনা ঘটবে না। পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত ও সুদর্শন হওয়ায় নিউ নর্মালে যাত্রীদের মানোগ্রাহীও হবে। শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এরকম ছটি রেক ডিভিশনে এসেছে আগেই। এখন তা আরও আধুনিক ও পরিস্থিতি মোতাবেক হয়ে আসছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.