অর্ণব আইচ: দুপুর বারোটা বাজতে তখন মিনিট পনেরো বাকি। খোলা ছিল পূর্ব কলকাতার নামী মিষ্টির দোকানটি। সেখানেই হানা দিল পুলিশ। লকডাউন ভেঙে কেন দুপুর বারোটার আগে খোলা হয়েছে মিষ্টির দোকান? উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি পুলিশ। তাই মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার ও এক কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এবার পুলিশের নজর শহরের মিষ্টি ও চায়ের দোকানের দিকে। লকডাউনে চায়ের দোকান যাতে বন্ধ থাকে, সেদিকে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি। কারণ, কলকাতার চায়ের দোকান মানেই মানুষের আড্ডা। আর আড্ডা মানেই লোকের ভিড়। যেখানে লকডাউনের সময় মানুষকে বলা হচ্ছে ঘরের ভিতর থাকতে, সেখানে লকডাউন লঙ্ঘন করেই শহরে চলছিল চায়ের দোকান। পূর্ব কলকাতার আনন্দপুর থানার পুলিশ আনন্দপুর রোডে টহল দিতে গিয়ে দেখে যে, একটি আবাসনের কাছে ফুটপাথের উপর কালিকাপুরের বাসিন্দা শঙ্কর হালদার খুলেছেন চায়ের দোকান। বিকেলে সেখানে কয়েকজন ভিড়ও করেছেন চা খেতে। শুরু হয়েছে লকডাউন ও করোনা ভাইরাস নিয়ে আড্ডা। পুলিশ বন্ধ করে দেয় চায়ের দোকানটি। গ্রেপ্তার হন মালিক।
দক্ষিণ শহরতলির নেতাজিনগর থানার পুলিশও শ্রী কলোনিতে টহল দেওয়ার সময় একটি চায়ের দোকান খোলা থাকতে দেখে। দোকানের দুই মালিক বাপি দে ও খোকন দেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, বিবেকানন্দ রোডে টহল দিচ্ছিল গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ। সকাল সোয়া এগারোটা নাগাদ পুলিশ আধিকারিকরা দেখেন, তখনই খোলা হয়েছে বিবেকানন্দ রোডের উপর একটি মিষ্টির দোকান। শুরু হয়েছে কেনাবেচা। পুলিশের উত্তরে বিক্রেতা বলার চেষ্টা করেন যে, বিক্রির জন্য একটু আগেই তিনি দোকান খুলেছেন। যদিও পুলিশ কোনও কথা শোনেনি। দোকানের মালিক জগদীশ সাউকে পুলিশ গ্রেফতার করে। একই ভাবে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ পৌনে বারোটা নাগাদ সন্তোষপুরের জোড়াব্রিজের কাছে মিষ্টির দোকান খোলা থাকতে দেখে।
পুলিশের অভিযোগ, অনেক আগেই মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন ম্যানেজার। দু’জনকে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। লালবাজার জানিয়েছে, লকডাউনের সময় নির্দেশ ভেঙে দুপুর বারোটার আগে ও বিকেল চারটের পর কোনওভাবেই মিষ্টির দোকান খোলা রাখা চলবে না। টহল দেওয়ার সময় এই বিষয়টির উপরও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.