Advertisement
Advertisement
দিলীপ ঘোষ

‘রাজ্যে লকডাউন ঢিলেঢালা, গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার’, অভিযোগ দিলীপ ঘোষের

তৃণমূলের পার্টি অফিসে রেশন দোকানের গোডাউন করা হয়েছে বলে কটাক্ষ বঙ্গ বিজেপির সভাপতির।

Coronavirus Lock Down: Dilip Ghosh slams WB govt
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 7, 2020 9:15 pm
  • Updated:April 7, 2020 9:15 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন সেভাবে মানা হচ্ছে না। রাজ্য সরকারও কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও লক নেই। লকডাউন সবচেয়ে ঢিলেঢালা। লকডাউনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বহু জায়গায় বাজারে, রাস্তায় মেলা চলছে। এভাবে কী করে করোনা ভাইরাসকে আটকানো যাবে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে।” করোনা নিয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী করোনা নিয়ে তথ্যগোপন করছেন বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিনও তাঁর অভিযোগ, সত্য ঘটনা চেপে দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর তথ্য জানানো হচ্ছে না। বড় সংখ্যায় অসুস্থদের খবর চেপে দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনায় কত মৃত ও কতজন আক্রান্ত তার সঠিক তথ্য প্রকাশ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। রেশনের চাল পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তৃণমূলের পার্টি অফিসে রেশন দোকানের গোডাউন করা হয়েছে। প্রতি মাসে সাংসদদের বেতনের ৩০ শতাংশ হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি সাংসদের উন্নয়ন তহবিল আগামী ২ বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দিলীপবাবু।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘করোনা নিয়ে তথ্য গোপন করলে মিলবে না বিমার সুবিধা’, ফের মমতাকে বিঁধলেন দিলীপ]

তাঁর বক্তব্য, “প্রধানমন্ত্রীর হিম্মত রয়েছে যে তিনি এইধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ জনসেবা যাঁরা করতে এসেছেন তাঁরাই তো আগে উদাহরণ সৃষ্টি করবেন।” ত্রাণ বিলি নিয়েও রাজ্যের শাসকদল রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে, সোমবার পিপিই (PPE) দিতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে তথ্য গোপনের অভিযোগে সরব হন তিনি। বলেন, “করোনায় কতজন আক্রান্ত, কতজন মারা গিয়েছেন, গোটাটাই এখন ধোঁয়াশা। ডাক্তারদের বলা হয়েছে, মারা গেলে নিউমোনিয়া লিখতে হবে। ডেঙ্গির সময়ে যেমন অজানা জ্বর লিখতে বলা হয়েছিল। আর সেই কারণেই আসল সংখ্যা জানা যাচ্ছে না।” এতে আদতে চিকিতসক স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে দাবি করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘মানুষ বোমা ফাটিয়ে যদি আনন্দ করে অন্যায়টা কী?’, সমালোচনায় পালটা প্রশ্ন দিলীপের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement