কলহার মুখোপাধ্যায়: শুক্রবার বাংলায় জারি সম্পূর্ণ লকডাউন (Complete Lockdown)। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছুই বন্ধ। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার ঝাড়খণ্ডের দুই মহিলা ও হাসনাবাদের বাসিন্দা এক যুবক। দু’দিন ধরে বিমানবন্দরই ঠিকানা তাঁদের। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল অগাস্টের শেষে, তা সত্ত্বেও কেন এই পরিণতি?
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই দুই মহিলার কথায়, একটি জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমে দমদম (DumDum) বিমানবন্দর থেকে শুক্রবারের বিমানের দুটি টিকিট কাটেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে অ্যাপের তরফে এসএমএস করে জানানো হয়, টিকিট কনফার্ম। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা মনে করেন লকডাউন জারি থাকলেও বিশেষ কোনও কারণে বিমানপরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। ওই এসএমএসের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ডের বাড়ি থেকে দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন দুই মহিলা। ৫ টি বাস পরিবর্তন করে ১৪ ঘণ্টা যাত্রার পর পৌঁছন দমদম এয়ারপোর্টে। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। জানতে পারেন শুক্রবারের উড়ান বাতিল। কী উপায়? অগত্যা বিমানবন্দরই দু’দিনের আশ্রয়স্থল তাঁদের।
কার্যত একই পরিস্থিতিতে হাসনাবাদের বাসিন্দা শাহানুর ইসলাম গাজি। বেঙ্গালুরু থেকে বিমানে বৃহস্পতিবার রাতে দমদমে নামেন তিনি। ভেবেছিলেন অ্যাপ ক্যাব অথবা ট্যাক্সিতেই বাড়ি চলে যাবেন। কিন্তু এয়ারপোর্টে পৌঁছনোর পর বুঝতে পারলেন লকডাউনের আগের রাতে ১৫০ কিমি পথ পেরিয়ে বাড়ি পৌঁছনো এতটাও সহজ নয়। তাঁর কথায়, অ্যাপ ক্যাব তিনি পাননি। অগত্যা তিনি ট্যাক্সি ঠিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু হাসনাবাদ যেতে ট্যাক্সিচালক দাবি করেন ১২ হাজার টাকা! যা শুনেই হতবাক ওই যুবক। নিরুপায় যুবক বৃহস্পতিবার রাত কাটালেন বিমানবন্দরেই, শুক্রবারও সেখানেই থাকবেন তিনি। শনিবার সকালে রওনা হবেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। এহেন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিন যাত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.