নব্যেন্দু হাজরা: করোনা (COVID-19) আতঙ্কে থরহরিকম্প গোটা বিশ্ব। লকডাউনের আবহে এবার সেই ‘করোনা ভাইরাস’এর স্বাদ চেখে দেখতে পারবেন বঙ্গবাসী। অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন এও কি সম্ভব? আতঙ্কের আবহে কোভিড-১৯ (COVID-19) থিমে মিষ্টি ও কেক বানিয়ে সকলকে চমকে দিলেন বাংলার এক মিষ্টি ব্যবসায়ী। দেখে আতঁকে উঠতে পারেন। তবে স্বাদটা মোটেই মন্দ নয় বলে জানাচ্ছেন দোকানের খরিদ্দাররা। আর তাঁদের সেই মিষ্টি খাইয়ে মনে বিজয়ের গর্ব অনুভব করছেন বলেই জানাচ্ছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীও।
মিষ্টি সৃষ্টিতে অনবদ্য বাঙালি। তাই লকডাউনকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘করোনা’ মিষ্টি বানিয়ে ফেলল হিন্দুস্তান সুইটস। যা খেলে আতঙ্ক তো ঘুচবে কিনা জানা নেই, তবে মনে মনে করোনা ধ্বংসের আনন্দ পাওয়া যেতে পারে। যাদবপুরের হিন্দুস্তান সুইটসের দোকানের শো-কেসে থরে থরে সাজানো অবিকল করোনা ভাইরাসের মতো দেখতে মিষ্টি। আর তার পাশেই রয়েছে ‘করোনা’ কেক ও কুকিজ। এই বিপণি থেকে অন্য মিষ্টি কিনলে দোকানদার বিনামূল্যে খাওয়াচ্ছেন তাঁদের এই অনন্য সৃষ্টি। পাশাপাশি, সচেতনতার বার্তাও দিচ্ছেন দোকানদার। ইতিমধ্যেই সেই ‘করোনা’ মিষ্টি জনপ্রিয় হয়েছে।
সারা বাংলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তথা হিন্দুস্তান সুইটসের কর্ণধার রবীন্দ্র কুমার পাল জানান, “বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেওয়া করোনা ভাইরাস এখন সর্বত্র আলোচ্য বিষয়। আতঙ্কের এই আবহে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তাই কারিগরদের দিয়ে বানিয়ে ফেলা হয়েছে ওই বিশেষ সন্দেশ এবং কেক।” ‘করোনা’ মিষ্টি খাইয়ে তো বটেই, এমনকি মিষ্টির প্যাকেটেও মারণ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হবে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী।
করোনা-বিপর্যয় ঠেকাতে সারা দেশে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। অন্য সব কিছুর মতোই সেই কারণে বন্ধ মিষ্টির দোকানও। এখন দিনে ঘণ্টা চারেকের জন্য দোকান খুলছে। তার মধ্যেই অভিনব মিষ্টি যাদবপুরের এই দোকানের। দোকানের কর্মচারীদের কথায়, “এই মিষ্টি বানানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকিও ছিল, এমন একটি আতঙ্ক নিয়ে মিষ্টি তৈরি করলে মানুষের কী প্রতিক্রিয়া হবে? মানুষ আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। তবে তা হননি তাঁরা।” রবীন্দ্রবাবু বলছেন, “শেষবার আমরা বিশেষ ধরনের এই মিষ্টি বানিয়েছিলাম ইডেনে পিঙ্ক বলের আদলে।” রবীন্দ্রবাবুর দাবি, “করোনা ভাইরাস মানেই আতঙ্ক। তবে এই করোনা সন্দেশের স্বাদ মানুষকে খুশি করবে। তাই করোনায় ভীত নন, সতর্ক হোন। বরং মিষ্টির মতো গিলে ফেলুন করোনাকে।”
দেখুন ভিডিও :
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.