ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: বেলেঘাটা আইডি নয়। তানজানিয়া থেকে আসা কোভিড পজিটিভ (COVID Positive) রোগী গেলেন রাজারহাটের সিএনসিআই হাসপাতালে। আর সেই ঘটনাকে ঘিরে দিনভর তুমুল চাপানউতোর স্বাস্থ্যভবনে। অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স চালকের সঙ্গে যোগসাজস করে ওই ব্যক্তি অন্য হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, তানজানিয়া থেকে আসা এক অনাবাসীর কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে দমদম বিমানবন্দের। এই ঘটনা মঙ্গলবার দুপুরের। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ মেনে দমদম বিমানবন্দর কতৃর্পক্ষ তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠিয়ে দেয় বেলেঘাটা আইডি হাসাপাতালে। কিন্তু আইডি হাসপাতালের বদলে সেই অনাবাসী চলে যান রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে। কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে ভরতিও হয়ে যান। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এই বিষয়ে অন্ধকারে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত রোগী হাসপাতালে ভরতি না হওয়ায় উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানায়। একইসঙ্গে এক শীর্ষকর্তা ও চিকিৎসক বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমনকী এক প্রশাসনিক কর্তা কয়েকটি হাসপাতালে হাজির হন রোগীর খোঁজে। কিন্তু কোথাও রোগীর খোঁজ মেলেনি। পরে আইডি হাসাপাতালের অধ্যক্ষ অনিমা হালদারের কথায়, “এদিন দুপুর পর্যন্ত ওই রোগী হাসপাতালে না আসায় স্বাস্থ্যভবনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অনিমা দেবীর কথায়, “বুধবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও রোগী না আসায় ফের স্বাস্থ্যভবনে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ওই ব্যক্তি সিএনসিআই হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন।
সিএনসিআই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে ওই ব্যক্তি আইডি হাসপাতালে ভরতি হতে রাজি নন। এখন প্রশ্ন উঠেছে বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আইডি হাসপাতালে না গিয়ে রাজারহাটের হাসপাতালে গেল কীভাবে? অনিমাদেবীর কথায়, “অ্যাম্বুল্যান্স চালককে জেরা করলেই সব স্পষ্ট হতে পারে।” তাঁর কথায়, “স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রটোকল মেনে আইডি হাসপাতালে আলাদা করে ৫০টি শয্যা বিদেশ ফেরত কোভিড পজিটিভ রোগীর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি যে বাড়ি বা অন্য কোথাও যায়নি, এটাই স্বস্তির। তাহলে সমস্যা আরও বাড়ত। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “সমস্ত বিষয়টি জানা গিয়েছে। খতিয়ে দেখা হবে।” এদিকে কোভিড পজিটিভ ওই ব্যক্তির জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে আইডি হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.