Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলকাতা মেডিক্যাল

দীর্ঘক্ষণ মিলল না চিকিৎসা, করোনা রোগীকে ‘হেনস্তা’য় ফের নাম জড়াল কলকাতা মেডিক্যালের

চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে, দাবি হাসপাতাল সুপারের।

Corona patient alleged that they don't get treatment in Kolkata Medical hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 25, 2020 5:04 pm
  • Updated:July 25, 2020 5:04 pm  

অভিরূপ দাস: কলকাতা মেডিক্যালে ফের দুই করোনা (Coronavirus) রোগিণীকে ‘হেনস্তা’। দীর্ঘক্ষণ ওই দুই রোগিণীকে হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের সামনে বিনা চিকিৎসায় বসিয়ে রাখা হয় বলেই অভিযোগ। হাসপাতালের সুপারের কানেও গোটা ঘটনাটি পৌঁছেছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি তাঁর।

দেগঙ্গার বাসিন্দা এক মহিলা দিনকয়েক আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে ভরতি হন। শুক্রবার রাতে তাঁর রিপোর্ট আসে। তাতেই জানা যায়, ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত। শনিবারই অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই রোগিণীর পরিবারের অভিযোগ, সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের সামনে দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্সে বসিয়ে রাখা হয় মহিলাকে। রোগিনীর কষ্ট হচ্ছে, সেকথা বারবার জানানোর পরেও কোনও লাভ হয়নি বলেও অভিযোগ। কাগজপত্র তৈরি এবং ভরতি প্রক্রিয়া মেটাতে মেটাতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। পরে যদিও হাসপাতালেরই এক মহিলা কর্মীর তৎপরতায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের শুনশান শহরে বেপরোয়া গাড়ি, থামাতে গিয়ে বাইপাসে জখম ২ পুলিশ কর্মী]

দ্বিতীয় ঘটনাটিও প্রায় একইরকম। শোভাবাজারের বাসিন্দা ওই রোগিনীও ভরতি ছিলেন আরজি করে। তাঁর শুক্রবার রাতেই করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট আসে। তারপরই জানা যায়, ওই মহিলাও করোনা আক্রান্ত। তাই আরজি কর থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অ্যাম্বুল্যান্সে করে আরজি কর থেকে তাঁকে পাঠানোর বন্দোবস্তও করা হয়। তবে অভিযোগ, কলকাতা মেডিক্যালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের কাছে অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। ভরতি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি সে। তারপর দীর্ঘক্ষণ সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের সামনে শুয়েছিলেন তিনি।

দু’টি পৃথক ঘটনারই খবর পেয়েছেন হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। তিনি বলেন, “এমন ধরনের ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। কোনও রোগীই যাতে হয়রানির শিকার না হন, তা দেখছি। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। যে সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটছে, তাদের বরখাস্ত করা হবে।”

[আরও পড়ুন: রাজ্যে পূর্ণ লকডাউনের দ্বিতীয় দিন নিয়মভঙ্গের ছবি কলকাতায়, দ্বিগুণ পুলিশি তৎপরতাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement