ফাইল ছবি
অভিরূপ দাস: হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৮০ জন রোগী। তাঁদের প্রত্যেকেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন তলানিতে। এক মিনিটের জন্য অক্সিজেন বন্ধ হলেই মারা যাবেন। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যা অক্সিজেন আছে তাতে আর মাত্র আড়াই ঘণ্টা চলবে! হাসপাতালে নতুন অক্সিজেন আসতে লাগবে ছ’ঘন্টা। কী হবে জানা নেই।
ভয়ংকর এই ঘটনা ঘটেছে গড়িয়া (Garia) স্টেশন রোডের রেমেডি হাসপাতালে। হাসপাতালের ডিরেক্টর বিমান ভট্টাচার্যর দাবি, “সোমবার বিকেলে আমার সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের কথা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন অক্সিজেন (Oxygen Cylinder) আসবে। কিন্তু সেই অক্সিজেন আসতে মঙ্গলবার ভোর রাত হয়ে যাবে।” এদিকে রেমেডি হাসপাতালের কাছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেন আছে। তাহলে উপায়? হাসপাতালের ডিরেক্টর বিমান ভট্টাচার্যর কথায়, অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে ৮০ জন রোগী মারা পরবে। ভয়ংকর এই ঘটনায় হাত পা ঠান্ডা হওয়ার জোগাড় হাসপাতালের চিকিৎসকদের।
সূত্রের খবর, এই হাসপাতালের কিছু কাগজপত্র সংক্রান্ত গন্ডগোল রয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা একাধিকবার বলা সত্ত্বেও তা সংশোধন করেনি রেমেডি হাসপাতালের মালিকপক্ষ। যার জন্যেই বিপদে পড়েছে অগুনতি প্রাণ। যদিও চরম সংকটে হাসপাতালের ডিরেক্টরের আরজি, যা ভুল ত্রুটি আছে শুধরে নেওয়া হবে। দয়া করে কেউ অক্সিজেনটা দিন। নয়তো অনেক মানুষ মারা পরবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে ১০টি সিলিন্ডার আসছে বলে শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শহর তথা রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট আগে দেখা গিয়েছে। যদিো তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে প্রশাসন। অক্সিজেন, ওষুধ কিংবা হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য যাতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে না হয়, তার জন্য একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিকে। কিন্তু গড়িয়ার এই হাসপাতালের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.