ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: করোনায় কাবু দুই দেশের সিন্ডিকেট সদস্যরা। তার উপর লকডাউনে কড়া নজরদারি। ফলে গত কয়েক মাসে শহরে গাড়ি চুরি এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় তলানিতে। যদিও আনলক শুরু হওয়ার পর যাতে গাড়ি চুরি না বাড়ে, সেদিকে কড়া নজর রাখতে শুরু করেছে পুলিশ।
লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বাইক ও গাড়ি চুরির সংখ্যা একেবারেই কমে গিয়েছে। ওই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত শহরে যে সংখ্যক গাড়ি ও বাইক চুরি হয়েছে, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না। পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন শুরু হওয়ার আগেও যথেষ্ঠ সক্রিয় ছিল দুই দেশের গাড়ি-চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা। কোনও মাসে পনেরো থেকে কুড়ি, আবার কোনও মাসে ৩০টি পর্যন্ত গাড়ি ও বাইক চুরি হয়েছে। এর মধ্যে বাইকের সংখ্যাই বেশি। বাইক অথবা তার ইঞ্জিন মূলত উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত দিয়ে পাচার হয় বাংলাদেশে।
গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর, গাড়ি ও বাইক চুরি কমে যাওয়ার পিছনে রয়েছে সেই করোনাই (Coronavirus)। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের বাইক চুরির সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কাবু হয়ে পড়েছে বলে খবর। এ ছাড়াও লকডাউনে পুলিশের নজরদারি অনেক কড়া হওয়ায় রাস্তায় চোরাই গাড়ি নিয়ে বের হওয়া মানেই ছিল বিপদ। বিশেষ করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া। তাই ‘ঘাড়ভাঙা’ ও ‘মাস্টার কি স্পেশ্যালিস্ট’ বাইক চোররা সাহস করেনি চুরির কাজে নামতে। একই কারণে গাড়ি চোররা ঝাড়খন্ড ও বিহারে চোরাই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সাহস পায়নি।
বরং লকডাউনের সময় কয়েকজন চোর পার্কিংয়ে থাকা ট্যাক্সি ও গাড়ির চাকা, ব্যাটারির মতো অংশ খুলে নিয়েছে। করোনার সংক্রমণ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ অনুপ্রবেশকারীদের উপর নজরদারি বাড়ায়। সেই কারণে সিন্ডিকেটের সদস্যরা চোরদের নতুন করে চোরাই বাইকের ‘অর্ডার’ দিতে পারেনি। আনলক হওয়ার পর থেকে রাস্তায় গাড়ির যাতায়াত বেড়েছে। সেই সুযোগে যাতে বাইক ও গাড়ি চোররা ফের সক্রিয় না হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.