অঙ্কন: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: কালরাত্রিতে করোনার হানা! সেই হানায় অন্ধকার ফুলশয্যার নিয়ন আলো। সদ্য রূপান্তরিত বধূ চলে গেলেন হোম কোয়ারান্টাইনে। যাঁকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্নে তিনি ঘর ছেড়েছেন, সেই স্বামীকে পাঠানো হল হাসপাতালে। বিয়ে হল বটে। হল না ফুলশয্যা।
বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের অমতেই। সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর লালারসের পরীক্ষা করা হয়েছিল তাঁর বিয়ের আগেই। সেই রিপোর্ট এল ফুলশয্যার আগের দিন। জানা গেল, ওই যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই একটা রিপোর্টই বদলে দিল বিয়ের আপাত পরিণতি। সদ্য স্বামী হওয়া যুবককে যেতে হল হাসপাতালে। একই সঙ্গে নববধূ-সহ বাড়ির সকলকেই পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে।
শঙ্কিত হাওড়ার দাসনগরের কোনা রোডের বাগপাড়ার বাসিন্দারা। ওই বাগপাড়াতেই থাকেন দাসনগর থানার অধীনে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবক। পাড়ার মেয়েকেই ভালবেসে বাড়ির অমতে বিয়ে। ২৯ মে হাওড়া জেলা হাসপাতালে উপসর্গহীন ওই যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। হাওড়া সিটি পুলিশের আর পাঁচ জন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীর মতো তাঁর লালারসও করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বুধবার রাতেই আসে রিপোর্ট। দেখা যায়, সদ্য স্বামী হওয়া যুবক COVID-19 পজিটিভ। তাতেই ছেদ পড়ল প্রত্যাশিত বিবাহ পর্বে।
তার আগে অবশ্য বিয়ে মেনে নেয়েছিল তাঁর পরিবার। পরিবারের সদস্যদের আগ্রহে নিয়ম মেনেই বৃহস্পতিবার ফুলশয্যর কথা ছিল। ছিল কয়েকজনের খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও। সেসব হলেও, হল না আসল পর্ব – ফুলশয্যা। বিবাহপর্বের এমন একটা বড়সড় অঙ্গ বাদ পড়ে গেল করোনা কাঁটায়। আপাত বিচ্ছেদপর্বে করোনা মুক্তির দিন গুনছেন নবদম্পতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.