কৃষ্ণকুমার দাস: আগামী ১৫ আগস্টের পর মহানগরে করোনা সংক্রমণের হার কমতে শুরু করতে পারে বলে আশ্বাস দিলেন কলকাতা পুরসভার কোভিড কমিটির উপদেষ্টা।
রাজধানী দিল্লির উদাহরণ টেনে আইসিএমআর ও প্রখ্যাত সমীক্ষক সংস্থা থাইরোকেয়ারের এর তথ্য তুলে ধরে মঙ্গলবার জানালেন, আর সর্বাধিক হাজার দশেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ কমে আসবে। বর্তমানে কলকাতায় সংক্রমণের যা গতি তাতে আর দু’সপ্তাহের একটু বেশি সময় লাগতে পারে। পুরসভার কোভিড কমিটির উপদেষ্টা তথা আইএমএ’র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ শান্তনু সেন এদিন জানান,“জনসংখ্যার ১৭ থেকে ২০ শতাংশ নাগরিক সংক্রমিত হলেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে। দিল্লিতে ২২.৮ শতাংশ বাসিন্দা সংক্রমিত হওয়ার পর কমতে শুরু করেছে। জুন মাসে আইসিএমআর জানায়, কলকাতায় ১৪ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, জুলাই মাসে এটা বৃদ্ধি পেলেন প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা।
থাইরোকেয়ার বলছে, বর্তমানে ২০ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হয়ে গিয়েছে। যদি মধ্যবর্তী অবস্থান মেনে নেই, তা হলেও কলকাতা ১৭ শতাংশ পেরিয়েছে। অঙ্কের হিসাবে আর মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ প্রয়োজন।” কলকাতায় ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতার তথ্য তুলে এদিন ডাঃ সেন বলেন, মার্চ মাসে একজন সংক্রমিত হলে তিনি তিনজনের মধ্যে করোনা পৌছে দিতেন। কিন্তু এখন সেই সংক্রমণ ক্ষমতা কমে ১.২২ হয়েছে। ধীরে ধীরে এই ক্ষমতা ১ এর নিচে নামবে। তখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মে ভাইরাসের সংক্রমণ হার শূন্য হয়ে যাবে। কলকাতার জনসংখ্যার তথ্য তুলে পুরসভার কোভিড উপদেষ্টা ডাঃ সেন বলেন, “শহরের জনসংখ্যা যদি ৫০ লাখ হয় তবে এখন সংক্রমণের যা হার তাতে খুব বেশি হলে তিন সপ্তাহ লাগবে। অর্থাৎ ভেলোর হাসপাতালের প্রখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ জ্যাকব জনের ফর্মূলা মেনে ১৫ আগস্টের পর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.