ছবি: সুজিত মণ্ডল
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোমজুড়ে ব্যাংককর্মী খুনের কিনারা করল পুলিশ। লোনের টাকা আদায় করতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছে ওই ব্যাংকর্মীর। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। অভিযুক্তের নাম শেখ সামসুদ্দিন। মৃত যুবকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরেই অভিযুক্তের খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা। কাঁটালিয়ার বাড়ি থেকে শেখ সামসুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজ হাওড়া আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, সেদিন লোনের টাকা আদায়েই সামসুদ্দিনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বন্ধন ব্যাংকের রিকভারি এজেন্ট পার্থ চক্রবর্তী। আগে থেকে খুনের পরিকল্পনা সেরে রেখেছিল সামসুদ্দিন। অভিযোগ, পার্থবাবু সাইকেলে চেপে তাঁর বাড়িতে পৌঁছাতেই ঘরে নিয়ে গিয়ে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃত যুবকের দেহ খণ্ডবিখণ্ড করা হয়। তারপর শরীরের নিম্নাংশ মাকড়দহে রাস্তার পাশ ফেলে আসার পাশাপাশি। উপরের অংশ ফেলে অন্য জায়গায়। দিন তিনেক আগে এক দুপুরবেলা দেহাংশ উদ্ধার হলেও মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তে নেমে ডোমজুড় থানার পুলিশ পার্থবাবুর খোঁজ পান। ওই ব্যংককর্মীর বাড়ির লোক দেহাংশের পোশাক দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন। খুনের মোটিভ জানতে তদন্তে নামে পুলিশ। লোন আদায়ে বেরিয়ে ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছিলেন পার্থবাবু। তারপর শেখ সামসুদ্দিনের স্ত্রীকে ফোন করেন তিনি। ওই গৃহবধূও বন্ধন ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিলেন। অভিযোগ, মেয়াদ শেষ হলেও টাকা পরিশোধের নাম করছিলেন না তিনি। তাই মাঝেমধ্যেই টাকা আদায়ের জন্য ফোন করতেন ওই যুবক। ঘটনার দিন তিনি ফোন করতেই তৈরি হয় সামসুদ্দিন। পার্থবাবু তাদের বাড়িতে পৌঁছাতেই ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নারকীয় কার্য সম্পাদন করা হয়। গোটা ঘটনায় সহযোগী হিসেবে কেউ ছিল না। এমনটাই দাবি ধৃতের। তবে পুলিশ মানতে নারাজ। কেননা এক যুবককে খুন করে দেহটিকে টুকরো টুকররো করা হল বাড়ির মধ্য বসে। গোটা বাড়ি থাকে সাত-আটজন সদস্যের কেউ টেরও পেল না, এটা অসম্ভব। এবার সহযোগীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া তিন লক্ষ ৫৮ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাড়িতেই ছিল পার্থবাবুর সাইকেল। সেটিও উদ্ধার হয়েছে। জেরা করে বাকি দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[ইটাহারে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন, উত্তেজনা]
ধৃতকে এদিন হাওড়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। শুনানিতে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.