স্টাফ রিপোর্টার: গঙ্গার ঘাট হয়ে গেল বাড়ির বেডরুম৷ বাদ গেল না মদ্যপান, অবাধ যৌনতা৷ বাধা দিতে এসে মার খেল খোদ পুলিশই৷ আইন রক্ষকের উর্দি টেনে খুলে দিল তরুণী৷ বাধ্য হয়েই ওই যুগলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে দক্ষিণবন্দর থানার পুলিশ৷
[আইএসসি-আইসিএসই পরীক্ষাতেও ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা]
ঘটনাস্থল প্রিন্সেপ ঘাট৷ রবিবার বিকেলে বেজায় ভিড়৷ নৌকার ঘাটে পরিত্যক্ত এক জেটিতে এসে বসে এক যুগল৷ অন্ধকার নামতেই শুরু হয় ‘বেলেল্লাপনা’৷ অনুঘটক হিসাবে মদ, গাঁজা কোনও কিছুই বাদ ছিল না৷ নৌকা থেকে অনেক যাত্রীই তাদের ঘনিষ্ঠ প্রণয় দেখে মুখ লুকিয়ে ফেলেন৷ রাত আড়াইটে নাগাদ প্রিন্সেপ ঘাটে পেট্রলিংয়ের জন্য আসেন দক্ষিণবন্দর থানার পুলিশ৷ ওই যুগলকে গভীর রাতে ঘাটে শুয়ে থাকতে দেখে তাজ্জব বনে যান পুলিশ আধিকারিকরা৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশের কথায়, “পোশাক দেখে ভদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েই মনে হয়েছিল৷ রাতে ঘাটে শুয়ে থাকতে দেখে তাদের বাড়ি চলে যেতে বলি৷ কিন্তু ওরা ক্ষেপে ওঠে৷”
[বরকতি, সিদ্দিকুল্লাহর পথে হেঁটে মন্ত্রী অরূপের গাড়িতেও বহাল লালবাতি]
অভিযোগ, মদ্যপ তরুণী চড় মারে ওই পুলিশ অফিসারের গালে৷ রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে তাঁর উর্দিও খুলে দেয় ওই তরুণী৷ বাধ্য হয়েই ওয়াকিটকির সাহায্য নেন ওই আধিকারিক৷ আরও পুলিশ এলে তরুণী তাঁদের জানায়, প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গিয়েছি৷ যেখানে যা খুশি করতে পারি৷ এই মানসিকতায় শিউরে উঠেছেন পুলিশ কর্তারা৷ “শহরের একটা আইন রয়েছে৷ আঠারো বছর বয়স হলেই আইন ভাঙা যায় না৷ স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতা গুলিয়ে ফেলছে এই প্রজন্ম৷”– বলেন অফিসার৷ যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণবন্দর থানার পুলিশ৷ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও করা হয়েছে৷
[বেঙ্গালুরুর রাস্তায় বিষাক্ত ‘তুষারপাত’!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.