Advertisement
Advertisement

কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার, আত্মঘাতী সাব ইন্সপেক্টর

সুবিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে পরিবার।

Cop found hanging at his home in Kolkata suburb
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 13, 2017 6:59 am
  • Updated:March 13, 2017 6:59 am  

আকাশনীল ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর: নিজের ঘরে উদ্ধার হল সাব ইন্সপেক্টরের ঝুলন্ত দেহ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরের লাটবাগান পুলিশ কোয়ার্টারে৷ মৃতের নাম সৌভাগ্য দাস (৩৫)৷ পরিবারের অভিযোগ, কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হওয়ার ফলে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি৷

মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বাসিন্দা সৌভাগ্য ব্যারাকপুরের লাটবাগানে শিক্ষনবীশ পুলিশদের ট্রেনিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গেই শুয়েছিলেন তিনি৷ সকাল সাতটা নাগাদ স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়৷ তিনি দেখতে পান পাশে স্বামী নেই৷ উঠে স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে দেখেন পাশের ঘরের দরজা বন্ধ৷ অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পড়শিদের ডাকেন তিনি৷ পড়শিদের সাহায্যে ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায় সৌভাগ্য দাসের ঝুলন্ত দেহ৷ ব্যারাকপুর থানায় খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

এবার কলেজেই করতে পারবেন পিএইচডি

পরিবারের অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বর মাসে এক শিক্ষনবীশ পুলিশ কনস্টেবলকে ঘুষ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় এস আই সৌভাগ্যকে। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসের ১০ তারিখ সেই সাসপেনশন উঠে যায়৷কাজে যোগ দেওয়ার পরও তাঁর ওপর মানসিক অত্যাচার চালানো হতো বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে সৌভাগ্যের পাঁচটি ইনক্রিমেন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে লাটবাগানের কমান্ড্যান্ট অফিসার এস এম এইচ মির্জা ও শংকর পাল এর বিরুদ্ধে। যাঁরা নারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত৷ সৌভাগ্যবাবুর স্ত্রী সুচিত্রিতা দাসের অভিযোগ, এরাই তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ী৷

দেশবাসীকে হোলির শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

সোমবার সৌভাগ্য দাসের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্যারাকপুর পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে ব্যারাকপুর থানার পুলিস। অভিযোগ, রবিবার রাতে ব্যারাকপুর থানায় অভিযুক্ত আই পি এস অফিসার ও কমান্ড্যান্ট এস এম মির্জা ও এম টি ও শংকর পালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাতে যান সৌভাগ্যবাবুর স্ত্রী৷ কিন্তু সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ৷ সুচিত্রিতাদেবী এবং তার পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রেখে হয়রানি করার অভিযোগও উঠেছে। পরে একটি ডায়েরি অবশ্য নথিভুক্ত করা হয়। তবে মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুবিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা।

পরীক্ষায় ১০০% সাফল্যের গ্যারান্টি-সহ বিশেষ কলম বিক্রি করছে এই মন্দির

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement