Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal state election commission

WB Civic Polls 2022: পুরভোট পিছনো নিয়ে হাই কোর্টের পরামর্শ অমান্য কমিশনের, দায়ের আদালত অবমাননার মামলা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট।

Contempt of court case file against West Bengal state election commission । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 31, 2022 1:44 pm
  • Updated:January 31, 2022 2:14 pm  

শুভঙ্কর বসু: ফের শিরোনামে পুরভোট (WB Civic Polls 2022) মামলা। এবার রাজ্য নির্বাচনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল আদালত অবমাননা মামলা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা রুজু হয়েছে। করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখে হাই কোর্ট রাজ্যে চার পুরনিগমের ভোট চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছনোর কথা বললেও কেন তা মানল না কমিশন, সে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী।

কলকাতা পুরসভায় (KMC Election) ভোটের ফলপ্রকাশের পরই বকেয়া পুরভোটগুলির দাবি আরও জোরাল হয়। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট করার কথা বলা হয় রাজ্য সরকারকে। সেই অনুযায়ী গত ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোটের দিন স্থির করা হয়। তবে করোনার বাড়বাড়ন্তে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয় হাই কোর্ট। এরপরই ভোট পিছিয়ে যায়। তাই আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটাভুটি। ফলপ্রকাশ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কালো তালিকাভুক্ত হয়েও ৪ বছর ধরে চলছে ধর্মতলার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য]

কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন মাত্র তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল পুরভোট, ব্যাখ্যা তলব করে কমিশনকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠান মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্য। মামলাকারীর প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে তিন সপ্তাহ ভোট পিছনো হল? কেন আদালতের পরামর্শমতো ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হল না? এক্ষেত্রে কমিশনের যুক্তি কী রয়েছে? সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়। ৭ দিনের মধ্যে কমিশন ওই নোটিসের জবাব না দিলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন। নোটিসের জবাব না মেলায় এবার দায়ের হল মামলা।  

যদিও মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সিদ্ধান্ত ছেড়েছিল কমিশনের হাতে। হাই কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র সংস্থা। তাই সরাসরি আদালত কোনও নির্দেশ কমিশনের মাথায় চাপিয়ে দিতে চায়নি। ফলে মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

[আরও পড়ুন: করোনার কবল থেকে সুস্থতার পথে রাজ্য, একদিনে সংক্রমিত সাড়ে ৩ হাজারের কম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement