অর্ণব আইচ: অভিযোগ নেওয়ার জন্য এবার থানায় থানায় বিশেষ বাক্স বসাচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। এই বাক্সেই ফেলা যাবে অভিযোগপত্র। একই সঙ্গে শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণরাস্তার মোড়েও রাখা হচ্ছে অভিযোগের বাক্স। এদিকে, মেয়াদ শেষে জেলের বন্দিরা যাতে বাইরে বেরিয়ে নতুনভাবে কাজ শুরু করতে পারেন, তার জন্য তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণেরব্যবস্থা করছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কলকাতা পুলিশ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের শেষে এই কথা জানান ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
[ইসলামপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি, হাই কোর্টে মামলা এবিভিপি-র]
স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের সুরক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রকল্প ‘সুকন্যা’। এই বছর আত্মরক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্ট শিখেছেন ২ হাজার ২৮০ জন্য ‘সুকন্যা’। প্রশিক্ষণের শেষে এদিন তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুলিশের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প ‘কিরণ’-এ যে ছাত্রছাত্রীরা যোগদান করেছিলেন, তাঁদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা। মন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা জানান, ‘কন্যাশ্রী’র মেয়েরাও আত্মরক্ষার জন্য ‘সুকন্যা’র আওতায় মার্শাল আর্ট শিখছেন। ৬ জন ‘সুকন্যা’ ইতিমধ্যে রাশিয়ায় গিয়ে পুরস্কারও পেয়েছেন। পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ‘ক্লিন সিটি গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে যেন প্রত্যেকেই শহরকে আবর্জনামুক্ত রাখেন। তিনি ছাত্রীদের বলেন, প্রত্যেকেই যদি নিজেদের বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে নিজের পাড়াকেও পরিষ্কার রাখে, তবে সারা শহরই সুন্দর হয়ে উঠবে।
[বনধে অশান্তি হলে দায় নিতে হবে প্রশাসনকে, আগাম হুঁশিয়ারি দিলীপের]
মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানান, এবার থেকে প্রত্যেকটি থানায় অভিযোগের বাক্স রাখবে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। অটোচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে শুরু করে ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত ও বিভিন্ন অভাব অভিযোগ থানার ওই বাক্সেই লিখে জানাতে পারবেন এলাকার বাসিন্দারা। ওই অভিযোগগুলি নবান্ন ও সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী, সরকারের বিরুদ্ধেও কোনও বিষয়ে কারও অভিযোগ থাকে, তা-ও তিনি ওই বাক্সে লিখে জানাতে পারেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে যে বাক্সগুলি রাখা হবে, সেগুলি যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এখন কলকাতায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ধীরে ধীরে সারা রাজ্যেই এই বাক্সগুলি বসানো হবে। একই সঙ্গে কারা দপ্তরের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলছেন। যে বন্দিদের মেয়াদ বছরখানেক রয়েছে, তাঁদের ট্র্যাক রেকর্ড দেখা হবে। এর পর তাঁদের জেলের মধ্যেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা জেল থেকে বেরনোর পর অপরাধের দিকে না ঝুঁকে কোনও কাজ করতে পারেন। মাদকাসক্ত যুবকদের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য কলকাতা পুলিশের প্রকল্প ‘শুদ্ধি’র জন্য ক্রেতা সুরক্ষা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.