ছবি: প্রতীকী
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোটে টার্গেট প্রতি বুথে প্রার্থী দেওয়া। কিন্তু আদৌ তা কতটা সফল হবে, সেই ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’ নিতে ১৬ জানুয়ারি প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে বৈঠক ডাকলেন দলের পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান তথা দলের প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত টানা ৫ ঘণ্টার বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের অভ্যন্তরীণ চেহারা নিয়ে কাটাছেঁড়া হওয়ার কথা। সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হবে রাজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি।
বঙ্গের ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীনই কয়েক দফায় দলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরির সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছেন নেপাল মাহাতো। রাজ্য সম্মেলন আয়োজনে তাঁকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন অধীর। প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয় ঠিক হয়েছে। দলের শক্তির ভিত বুঝে দুটি প্রস্তাব রাখা হবে। প্রথম এবং প্রধান প্রস্তাব, রাজ্যের সমস্ত বুথের অন্তত ২ জন করে কর্মী নিয়ে রাজ্য সম্মেলন।
তা সম্ভব না হলে উত্তরবঙ্গ এবং কলকাতা ও তার সংলগ্ন জেলাগুলো নিয়ে দুই দফায় সম্মেলন করা যেতে পারে। সবটাই নির্ভর করছে গ্রাউন্ড রিপোর্টের উপর। সেই পরিস্থিতি বুঝতেই দলের সমস্ত জেলা সভাপতিকে ১৬ জানুয়ারি কলকাতার বিধান ভবনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নেপালবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটের আগে কর্মীদের শক্তি আর তাদের মনোভাব বুঝে নিতে হবে। তারপর সেই অনুযায়ী পথনির্দেশ দেওয়া হবে।’’
এই মুহূর্তে কোনও জেলা পরিষদই কংগ্রেসের দখলে নেই। খাপছাড়াভাবে সদস্যরা রয়েছেন হাতে গোনা ক’টি জেলা পরিষদে। পঞ্চায়েত সমিতি আর গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সদস্য সংখ্যা অবশ্য কিছু আছে। এর মধ্যে ভোটের পর প্রদেশ আর জেলা স্তরেও সদস্য কিছু বেড়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। এমন অবস্থায় পঞ্চায়েত সম্মেলনে ভারত জোড়ো যাত্রার প্রভাবকেও কাজে লাগাতে চাইছে প্রদেশ। তবে রাজ্যস্তরের সম্মেলন একটিই হোক বা দুই দফায়, তার আগে প্রতি অঞ্চলে সম্মেলন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেপালবাবুর কথায়, ‘‘আমরা চাই রাজ্যস্তরে একটাই বড় সম্মেলন হোক। কর্মীদের একসঙ্গে বার্তা দেওয়া যাবে।”
দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছল ইডি’র মামলার শুনানি, আগামী ১০ দিন স্বস্তিতে অনুব্রত
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.