সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার বদলে প্রশ্ন বিতর্কে নিজের সাংসদ পদ খোয়ানোর পথে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তৃণমূলও এই ইস্যুতে সেভাবে দলীয় সাংসদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেয়নি। রাজ্যের শাসকদল শুধু বলছে, মহুয়া একটু বেশি সরব বলেই তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু এর কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি তৃণমূল ঘোষণা করেনি। নিজের দলকে সেভাবে পাশে না পেলেও তৃণমূল সাংসদ সমর্থন পেলেন দুই ‘শত্রু’ দল থেকে। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সরব হল বঙ্গ কংগ্রেস (Congress) এবং সিপিএম (CPIM)।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীরা একযোগে বললেন, তৃণমূল সাংসদ প্রতিহিংসার শিকার। মোদি-আদানিদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার শাস্তি পেতে হচ্ছে তাঁকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলছেন, “সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই সংসদে শ্বাসরোধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। রাহুল গান্ধীরও সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছিল। এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি।”
সুজন চক্রবর্তী সুর আরও চড়িয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, “মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ জানিয়েছে এথিক্স কমিটি। আবার দর্শন হীরানন্দানির সঙ্গে টাকাপয়সা সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এক সঙ্গে দুটো জিনিস হয় কী করে?” এথিক্স কমিটির রিপোর্টের খসড়া প্রকাশ্যে চলে আসা নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন সুজন। তিনি বলছেন, “রিপোর্টের খসড়া অনৈতিক ভাবে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। কমিটির সুপারিশগুলিও নীতিবোধশূন্য। তাঁর দাবি, এথিক্স কমিটি বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরীর অভব্য আচরণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি।”
মহুয়া ইস্যুতে তৃণমূলের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধীর-সুজন দুজনই। তাঁদের দাবি, মহুয়া যেহেতু নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং আদানির বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাই কমিটি চাইছে যে ভাবেই হোক কোনও একটা ব্যবস্থা নিতে। সেই কারণে তৃণমূলের নেতারাও মহুয়ার পাশে নেই। তাঁরা আদানিকে অখুশি করতে চায় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.