অভিরূপ দাস: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর (Somen Mitra) শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। গত ২১ জুলাই থেকে বেলভিউ হাসপাতালেই ভরতি রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁর কিডনি কাজ করছে না। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও কমে গিয়েছে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও যথেষ্ট কম। এখনও তাঁর জ্বর রয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও রয়েছে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট থাকার ফলে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। তবে প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এখনও তাঁর জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। তাই আবারও করোনা পরীক্ষা করা হতে পারে। নেফ্রোলজিস্ট প্রতীম সেনগুপ্ত এবং কার্ডিওলজিস্ট এস কে বিশ্বাস এবং অরিন্দম মৈত্র দেখভাল করছেন তাঁকে। আপাতত আইসিইউতেই রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সাধারণত দিল্লি এইমসে (AIIMS) চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। সূত্রের খবর, হঠাৎ নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে বেলভিউ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সঙ্গে সামান্য জ্বরও ছিল। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই ওই হাসপাতালে ভরতি হন সোমেনবাবু। তাঁর ছেলে রোহিত মিত্র বলেন, “হাসপাতালে ভরতি করানোর সময় বাবার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।” সোমেনবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াটা নতুন কিছু নয়। আসলে বেশ কিছুদিন নিয়মমতো শরীরচর্চা না হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। তাছাড়া খাওয়াদাওয়ার অনিয়মও রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন রাজনৈতিকমহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.