গোবিন্দ রায়: ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হল কংগ্রেস (Congress)। বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীরা। বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। সোমবার দুপুর ২ টো নাগাদ শুনানির সম্ভাবনা। পুরপ্রশাসক বসানোর মামলায় ফের স্থগিতাদেশ জারি হলে ঝালদা নিয়ে জটিলতা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুরুলিয়ার এই পুরসভাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা রয়েছে। দলবদলের অঙ্কে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটে গত ২১ নভেম্বরে পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পরাজিত হন, তাঁকে পদ ছাড়তে হয়। নতুন পুরপ্রধান বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে জটিলতা আরও বাড়ে। তৃণমূলের (TMC) সঙ্গ ত্যাগ করেন শীলা চট্টোপাধ্যায় নামে এক কাউন্সিলর। যিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি ফের শাসকদল থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় সমীকরণ বদলে যায়।
গত ২৯ নভেম্বর তিন বিরোধী কাউন্সিলর পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য ৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার দিনক্ষণ ঠিক করেন। সেই মতো সাত কাউন্সিলরের উপস্থিতি ঝালদার পুরপ্রধান পদে বসেন শীলা চট্টোপাধ্য়ায়। ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল অ্যাক্ট ১৯৯৩, সাবসেকশন ৪, অফসেকশন ১৭ বিধি মেনে ‘অস্থায়ী’ চেয়ারম্যান নিয়োগ করে দেয়।
আর সেই নিয়োগের বিরোধিতা করেই সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। রবিবারও ঝালদা পুরসভায় জটিলতায় রাজভবনের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপালকে জোড়া চিঠি পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর অভিযোগ, সমস্ত পুর বিধি-আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বাচিত পুরপ্রধানের বদলে ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আরও দাবি, সরকারি প্রতিষ্ঠানই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি হাই কোর্ট প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেসের আবেদনে সাড়া দিয়ে কী রায় দেয়, সেদিকে নজর সংশ্লিষ্ট মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.