সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত নিশ্চিহ্ন কংগ্রেস (Congress)। চারটিতেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। আর যে একটি রাজ্যের ক্ষমতা বিজেপি দখল করতে পারেনি, সেই পাঞ্জাবের মসনদে বসছে আপ (AAP), কংগ্রেস নয়। একের পর এক হেভিওয়েট নেতার হারে রীতিমতো মুখ লুকোতে হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন জাতীয় দলটিকে। জাতীয় রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হতে চলেছে সোনিয়া, রাহুলের দল। একের পর এক নির্বাচনের ফলাফল সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার শাসকদল, তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র তোপের মুখে পড়ল কংগ্রেস। একইসঙ্গে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজেদের আরও তুলে ধরল তৃণমূল (TMC)।
বৃহস্পতিবার ৫ রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল স্পষ্ট হতেই তৃণমূল নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছিল, কংগ্রেসের আর প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাদের উচিত, তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যাওয়া। বৃহস্পতিবার দলের একাধিক নেতার বক্তব্যে এমনটাই স্পষ্ট হয়েছে। আর শুক্রবার ‘জাগো বাংলা’র (Jago Bangla) প্রথম পাতায় ‘কংগ্রেস ব্যর্থ, বিজেপি রুখতে বিকল্প শক্তি তৃণমূল কংগ্রেসই’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে সেই বক্তব্যই। সেখানে লেখা হয়েছে – ‘বিজেপিকে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলা মডেল। ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে বাংলার নেতৃত্বেই বিকল্প মঞ্চ তৈরি হবে।’
৫ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরই বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, এই নির্বাচনের ফলাফলই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের রাস্তা দেখিয়ে দিল। যদিও ‘জাগো বাংলা’য় তাঁর এই বক্তব্য খারিজ করে লেখা হয়েছে, ‘পাঁচ রাজ্যের এই ফলাফল বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাচ্ছে, এর কোনও প্রভাব লোকসভায় পড়বে না। ২০২৪-এর ভোটের সঙ্গে এই ভোটের যাঁরা সম্পর্ক জোড়ার চেষ্টা করছেন, তাঁরা ভুল করছেন।’
‘জাগো বাংলা’য় তৃণমূলের এই বক্তব্যেরই প্রতিফলন দেখা গেল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) টুইটে। তাঁর দাবি, ভারত জয়ের লড়াই হবে ২০২৪-এ এবং তখনই বোঝা যাবে দেশ কার হাতে, রাজ্যে নির্বাচনে কিছু প্রমাণ হওয়ার নয়। এসব মিথ্যা আশ্বাসে কান না দেওয়ার আবেদনও জানান পিকে।
Battle for India will be fought and decided in 2024 & not in any state #elections
Saheb knows this! Hence this clever attempt to create frenzy around state results to establish a decisive psychological advantage over opposition.
Don’t fall or be part of this false narrative.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) March 11, 2022
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.