সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন দাম্পত্য কলহ। সম্পর্ক ভেঙে গেলেও দোষারোপ পর্ব শেষ হতেই চাইছে না। জোট ভেঙে গিয়েছে। বাম ও কংগ্রেস যে যার নিজেদের মতো করে প্রার্থী চূড়ান্ত করে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে। প্রচারে আজ রাজ্যে এসেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেই পর্বে শনিবার জোট ভেঙে দেওয়ার জন্য সরাসরি টাকার লোভের অভিযোগ তুলে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। পালটা তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও।
[প্রচারে ঝড় তুলতে এপ্রিলের শুরুতেই ব্রিগেডে সভা প্রধানমন্ত্রীর]
অনশনরত এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে এদিন দেখা করতে এসেছিলেন বিমান বসু। সেখানেই জোট ভেঙে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বসেন তিনি। বলেন, “আমাদের তরফে সদিচ্ছার কোনও অভাব ছিল না। কিন্তু কোনও এক অদৃশ্য কারণে সেই চেষ্টা ভেস্তে গেল। বোধহয় মানিব্যাগের টানে সেই চেষ্টায় ইতি পড়ল অন্য তরফে।” এমন অভিযোগ শুনে পালটা বিমানবাবুকে বিদ্ধ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “জোট ভাঙার সব দায় বামেদের। ওদের কোনও সদিচ্ছা ছিল না। আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করেছিলাম। ওরাই আমাদের অপমান করে না জানিয়ে আগে থেকে প্রার্থী দিয়ে দিল। একবার কথা বলার প্রয়োজন মনে করল না। অথচ আমরা বারবার চেষ্টা করেছি। এর পর আর কোনওরকম পরিস্থিতিই থাকে না জোট করার।”
[তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, টালিগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ বিজেপির ]
বস্তুত, জোট ভেস্তে যাওয়ার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে যেমন দুই মধ্যস্থকারীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তেমনই আসন রফা ভেস্তে যাওয়ার জন্য শরিকদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছেন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা। তাই আগামী দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসনরফা বা জোট করার আগে শরিকদের ‘বশে’ এনেই কাজ শুরু করবে সিপিএম নেতৃত্ব। কারণ ফ্রন্টের ধর্ম বজায় রাখতে গিয়ে আসনরফা ভেস্তে গেলে আখেরে রাজনৈতিক ক্ষতি সিপিএমেরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.