রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কংগ্রেসের CAB বিরোধী মিছিল ঘিরে উত্তেজনা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। শুক্রবার দুপুরে কংগ্রেসের মিছিল বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে আসতেই শুরু হয় উত্তেজনা। মিছিল থেকে মোদি বিরোধী স্লোগান ওঠার অভিযোগে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চড়াও হয়। পালটা আবার বিজেপির মিছিলেও হামলা চালায় বলেও অভিযোগ।
নাগরিকত্ব বিল ও কলকাতার কর্পোরেশন-সহ মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বৃহস্পতিবার পথে নামে কংগ্রেস। বুধবারই নাগরিকত্ব বিলের প্রতিলিপি পুড়িয়ে আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সাদাব খানের বক্তব্য, “নাগরিকত্ব বিল সংবিধান বিরোধী। বাংলায় এনআরসি লাগু হলে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই এই বিল বাতিলের দাবিতেই আমাদের পথে নামা। আর কলকাতা কর্পোরেশন-সহ রাজ্যের বহু পুরসভায় সরকার ভোট নিয়ে টালবাহানা করে বিলম্ব করছে। সে কারণেই কর্পোরেশন অভিযান।” সেই আন্দোলনকে আরও জোরালো করতে প্রতিবাদ মিছিল করে যুব কংগ্রেস। শুক্রবার দুপুর দু’টোয় মহম্মদ আলি পার্কের সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল। কলকাতা কর্পোরেশন পর্যন্ত যাওয়ার কর্মসূচি। যেহেতু মহম্মদ আলি পার্কের অদূরেই বিজেপির রাজ্য দপ্তর। তাই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে তা সত্ত্বেও অশান্তি রোখা গেল না। ধর্মতলামুখী ওই মিছিল বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে পৌঁছনো মাত্রই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাঁদের লক্ষ্য করে বোতল এবং লাঠি ছোঁড়ে। তাতেই জখম হন বেশ কয়েকজন। যদিও গেরুয়া শিবিরের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কংগ্রেস কর্মীরা মিছিল থেকে অশান্তি তৈরির জন্য মোদি বিরোধী স্লোগান এবং বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।
কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, মিছিল বিজেপির রাজ্য দপ্তরের সামনে পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। ছোঁড়া হয় বোতল, ইট এমনকী লাঠিও। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং কংগ্রেস কর্মীরা ইচ্ছা করেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলেই পালটা অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।
চাঁদনি চকের ই-মলের সামনে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তাই ব্যারিকেডের সামনেই শুয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে, এদিন সকালে CAB-এর সমর্থনে লাড্ডু বিলি করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “কোনও মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব বিলকে রাজ্যে কার্যকরী করতে আটকাতে পারবে না। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে নাগরিকত্ব দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় নাগরিকত্ব বিল ও এনআরসি হতে দেবে না বলছে, এটা মমতার অহংকার। এই প্রদেশ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের প্রদেশ নয়। জনতার প্রদেশ।”
দেখুন ভিডিও:
ছবি: অরিজিৎ সাহা
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.