সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: করোনা আবহেও কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চলছেই। রাজ্যের অভিযোগ, প্রশাসনকে না জানিয়েই প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। কেন্দ্রের এই ভূমিকা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজ্যের বিরোধী শিবিরও। একদিকে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল বাম শিবির। তবে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমানের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতেও ভোলেননি তাঁরা। অন্যদিকে রাজ্যের ভূমিকার তুমুল সমালোচনা করে কেন্দ্রের পদক্ষেপের প্রশংসা করল রাজ্য বিজেপি।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্র বিশেষ দল পাঠানোর ঘটনায় রাজ্যের পাশেই দাঁড়িয়েছে সিপিএম। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “দেশের একটা বড় অংশের মানুষ যখন করোনা আক্রান্ত সেই সময় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু বিবৃতি আর বুলেটিন দিয়ে দায়িত্ব সেরেছে। এতদিন পর বোঝা গেল কেন্দ্রে সরকার আছে। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই করা উচিত ছিল। এমন পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ক্ষতি হয়।” একইসঙ্গের সেলিমের খোঁচা, “তৃণমূল যখন বিরোধী ছিল তারাও বারবার বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর দাবি করত। এখন ভূতের মুখে রামনাম শুনতে হচ্ছে। কেন কেন্দ্রীয় দল আসছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।”
কেন্দ্রের পদক্ষেপে স্বভাবতই খুশি রাজ্য বিজেপি। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, “ইতিমধ্যে ১০ জন চিকিৎসকের COVID-19 পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে যেতে চাইছেন না। রেশন দোকানের লাইন। অভিযোগ, ঠিকমতো খাদ্যদ্রব্য বণ্টন হচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন চাল দেবে। তার মধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টন রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। সরবরাহ করতে দিচ্ছে না। তার থেকেও বড় কথা, অন্য সমস্ত রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য, যেখানে পরীক্ষার হার এত কম।” এমন পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসায় গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পারবেন না তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.