রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ‘পদ্ম সম্মান’ প্রত্যাখ্যান নিয়ে ফের কমিউনিস্টদের তোপ দাগলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, কমিউনিস্টরা কাঁকড়ার মতো। কাউকে উপরে উঠতে দেয় না। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়রা কীভাবে দলের চাপে বঞ্চিত হয়েছিলেন, সেটাও তুলে ধরেন দিলীপ।
বৃহস্পতিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”কমিউনিস্টরা কাঁকড়ার মতো। কাউকেই ওপরে উঠতে দেয় না। ওঁরা জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি। বুদ্ধবাবুকেও পদ্ম সম্মান নিতে দিল না।” দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, দলীয় অনুশাসন মেনে চলেন বলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পদ্মভূষণ গ্রহণ করতে পারেননি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলছেন,”বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharya) শুধু রাজনীতিবিদ নন। তিনি সাহিত্যিকও বটে। শুরুতেই দল বলে দিল, নেওয়া যাবে না। উনি দলীয় অনুশাসন মেনে চলেন। তাই নিতে অস্বীকার করলেন।”
এরপরই জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়দের উদাহরণ তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,”জ্যোতি (Jyoti Basu) বাবুকেও প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি তাঁর দল। সোমনাথবাবুর মতো লোককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মেয়েকেও দলের নেতারা বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। এগুলো ভুলে গেলে চলবে না।” সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্ম সম্মান ফেরানো নিয়েও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বক্তব্য,”সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজপথে রাজ্যের ট্যাবলো না থাকলে অপমান হয়, আবার পুরস্কার দেওয়া হলেও অপমান হয়। আগে ঠিক করতে হবে কোনটা মান আর কোনটা অপমান।”
প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করার পর থেকেই আক্রমণাত্মক দিলীপ ঘোষ। বুধবারই তিনি দাবি করে ছিলেন, বামপন্থীরা দেশের রীতিনীতি, সংস্কৃতিকে সম্মান করতে জানে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও গতকাল বলেন,”বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সামাজিক ও প্রশাসনিক অবদানকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার মনে করেছে পদ্মভূষণে সম্মানিত করা উচিত। তাই দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে খামখা রাজনীতির কোনও মানে নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.