ফাইল ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: দেশের কুলীন ট্রেন হিসাবে এখনও রাজধানী এক্সপ্রেসের (Rajdhani Express) নাম সর্বাগ্রে। সেই ট্রেনেই আরশোলার দাপটে আতঙ্কিত যাত্রীরা! তাও ফার্স্ট ক্লাস এসি কূপে।
হাওড়ার ডিআরএমের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন এক যাত্রী, যিনি পেশায় চিকিৎসক। আর এনিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যাত্রীর অভিযোগ, করোনা কালে দূরত্বের আশায় সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়ে ফার্স্ট ক্লাস এসি কূপের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু যাত্রা করতে গিয়ে এমন বিপত্তি হবে ভাবতেও পারেননি। আরশোলার দাপটে সারা রাত দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি বলেই জানান তিনি।
শনিবার ওই চিকিৎসক যাত্রী দিল্লি থেকে হাওড়ার রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়েছিলেন। কালীপুজোয় (Kali Puja) রাতের এই অস্বস্তিকর পরিবেশের জন্য তিনি রেলের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণেই এই আরশোলার দাপট বলে অভিযোগ তাঁর। তাও ফার্স্ট ক্লাস এসি কূপে। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই কোচ পরীক্ষা করতে যান সিনিয়র ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এছাড়া পেস্ট কন্ট্রোল বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ট্রেনে আরশোলা, ছারপোকা, ইঁদুর তাড়ানোর দায়িত্ব রেল প্রাইভেট পেস্ট কন্ট্রোল সংস্থাকে দিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রাইভেট সংস্থাগুলো ঠিকমতো কাজ যেমন করে না, তেমনই নিম্নমানের কেমিক্যাল প্রয়োগে সমস্যা থেকে যায়। রেল সূত্রে খবর, আরশোলা, ছারপোকার জন্য কেমিক্যাল জামরায় দেওয়া ছাড়া ফগ দেওয়া হয়। ইঁদুরের জন্য ইয়ার্ডে ওষুধ ও কামরার ভিতরে আঠার প্যাড দেওয়া হয় যাতে ইঁদুর আটকে যায়। হাওড়ার ডিআরএম আবার এই ধরনের দৌরাত্ম্যের জন্য যাত্রীদের পরোক্ষে দায়ী করেছেন। বলেন, কামরার এদিক-সেদিক খাবার ফেলায় এই সমস্যা তৈরি হয়। পাশাপাশি আইআরসিটিসির (IRCTC) কর্মীরাও খাবার ফেলেন বলে তিনি জানান। এই যুক্তিকে যদিও উপযুক্ত মনে করেন না যাত্রীরা। ট্রেনে খাবার যাত্রীরা খাবেন। তা বলে আরশোলার দাপট সইতে হবে? ভাল পরিষেবা পেতেই তো টাকা খরচ করে টিকিট কাটা। বক্তব্য যাত্রীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.