গৌতম ব্রহ্ম: পুজোর আগে ভাসছে একাধিক জেলা। প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি উত্তরের জেলাগুলি। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় দক্ষিণের বহু জেলাও জলমগ্ন। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক নদীর জলস্তর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)।
নবান্নের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ফোন মারফত মুখ্যমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু, ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থার মতো একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা-
রাত তিনটে নাগাদ সিকিমের মুখ্যসচিব ফোন করে সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির খবর দেন বাংলার মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে। এর পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকার্য। ইতিমধ্যে উত্তরের চার জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের একাংশ বিপর্যস্ত হয়েছে। চার জেলার বানভাসিদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। দার্জিলিং জেলায় ৩টি, কালিম্পং জেলায় ৬টি, জলপাইগুড়ি জেলায় ১১টি এবং কোচবিহারে ৮টি ত্রাণ শিবির চালু হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি। ফলে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.