Advertisement
Advertisement

অশান্ত ভাঙড়ে এসে আশ্বাস দিন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি গ্রামবাসীদের

পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় ব়্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।

 CM must assure action or else protest will continue says bhangar protestors

ফাইল ছবি

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 18, 2017 11:28 am
  • Updated:January 18, 2017 11:28 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল না ভাঙড়ে। ফের নতুন করে শুরু হয়েছে অবরোধ। অশান্ত ভাঙড়ে আসুন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই দাবি বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের।

মঙ্গলবার গ্রামবাসীদের দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়।  বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার পরও কেন আন্দোলন চলছে তা নিয়ে ধন্দে প্রশাসন। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান। কিন্তু কাজ হয়নি। ভাঙচুর করা হয় একের পর এক পুলিশের গাড়ি। গুলিতে প্রাণ হারান দুই যুবক। তাঁদের নাম মাফিজুল আলি খান এবং আলমগির মোল্লা। গুলিতে জখম হয়ে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য পুলিশের এডিজি অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, ভাঙড়ে পুলিশ গুলি চালায়নি। বহিরাগতদের গুলিতেই আন্দোলনকারীদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। গোটা ঘটনার জন্য নকশালদেরও দায়ী করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

(বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বন্ধের পরও অশান্ত ভাঙড়)

ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশের উর্দিও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের উর্দি পরে বহিরাগতরাই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, পুলিশ কোনও অত্যাচার করেনি। পুলিশের ছদ্মবেশে গ্রামে ঢুকেছিল ‘মস্তানবাহিনী’। পড়ে থাকা পুলিশের উর্দিতে কোনও নামের প্লেটও পাওয়া যায়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাইরে থেকে আসা মস্তানরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে উর্দি ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের বেশে যারা এসেছিল তারা গুলির পাশাপাশি বোমাবাজিও চালিয়েছিল। স্থানীয় এক নেতার গুণ্ডারা এই কাজ করেছে বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পুলিশ বোমাবাজি করতে পারে না বলেই বিশ্বাস তাঁদের।

(বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিবিদ্ধ ১)

এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে ফের নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে গ্রামবাসীদের। বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী এখনও নিখোঁজ। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। এখনও এই ঘটনায় কোনও সমাধান সূত্র মিলছে না। পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প বন্ধের পিছনে শুধু জমি নয়, বেশ কিছু প্ররোচনাও দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। সন্তান হবে না থেকে পুকুরের মাছ মরে যাবে বলে প্ররোচনাও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের উত্ত্প্ত করে সুপরিকল্পিতভাবেই এই অশান্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এসে আশ্বাস দিন তাহলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় ব়্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement