সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু অনুরোধেই থেমে থাকলেন না। এবার সরাসরি সিইএসসি’র সদর দপ্তর ভিক্টোরিয়া হাউসে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাতে আচমকা ভিক্টোরিয়া হাউসে হাজির হয়ে সিইএসসি’র আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বললেন। অনুরোধ করলেন, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য। প্রয়োজনে লোকবল বাড়িয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কলকাতা-সহ শহরতলিতে যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কম হয় তার জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য অনুরোধ করলেন মমতা।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত। শনিবার দিনভর বিদ্যুৎ দুর্ভোগের জন্য সিইএসসি’র কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে মমতা এদিন বলেন, ‘সিইএসসি বেসরকারি সংস্থা। সিপিএমের আমল থেকে দায়িত্ব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দোষারোপের জায়গা নেই। লকডাউনের জেরে সংস্থার অনেক কর্মী বাড়ি চলে গিয়েছেন। কর্মীর অভাবে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যাটা বুঝতে হবে সকলকে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। জেনারেটর নামিয়ে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছি। আমরাও কেউ ঘুমিয়ে নেই। সল্টলেক স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর থেকে জেনারেটর তোলা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৮০-৯০টা জেনারেটর জোগাড় করেছি। আমাদের টিম রাত জেগে কাজ করছে। আশা করছি, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
কিন্তু শনিবার সন্ধেয় সবাইকে চমকে দিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে নিয়ে নিজেই সশরীরে চলে গেলেন ভিক্টোরিয়া হাউসে। কথা বললেন আধিকারিকদের সঙ্গে। দপ্তরের কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে বললেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য রেখে মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। একে অপরকে সাহায্য করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।’ আধিকারিকদের বললেন, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য।তবে কলকাতায় বিদ্যুৎ পরিষেবার বেহাল দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কার্যত সিইএসসি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন দুপুরে। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি পাকাতে উসকানি দেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আবেদন, ‘উসকানিতে পা দেবেন না। ধৈর্য ধরুন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.