সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই খারাপ হচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এনিয়ে আজ বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তের জন্য আবারও বাংলাদেশকে দায়ী করলেন তিনি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জোর দিলেন জনসচেতনতায়। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি – সকলকে নিজেদের দায়িত্ব পালনের কথা ফের মনে করিয়ে দিলেন।
শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘এপর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৫০০। ডেঙ্গুতে সরকারি হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ১৩ এবং বেসরকারি হাসপাতালে এর সংখ্যা ৪। সবমিলিয়ে, এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সীমান্ত এলাকা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ-সহ সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গুর ধরন আলাদা।’ তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারণ নাগরিকের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। অনেকেই নিজেদের বাড়ির মধ্যে জমা জল পরিষ্কার করেন না। যার জেরে মশার উপদ্রব বেড়ে ডেঙ্গু আরও ছড়িয়ে পড়ছে। এবিষয়ে তিনি আরও ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা প্রচারে জোর দেন।
আগেও একবার ডেঙ্গু নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, উত্তর ২৪ পরগনা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশি মশাদের উপদ্রব ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। আর সেকারণেই ডেঙ্গুর ধরন বদলাচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। এদিন ফের এই প্রসঙ্গ তুললে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান তাঁকে পালটা বলেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ঢাকায় ডেঙ্গুর উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় তার মোকাবিলায় কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলকে নিয়ে গিয়েছিল সেখানকার প্রশাসন।
গত কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে মৃতদের বেশিরভাগই উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, বনগাঁ, গাইঘাটার বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরেও কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।এই এলাকা দিয়েই বেশিরভাগ বাংলাদেশির প্রবেশ। তাঁদের থেকেই সংক্রমণ বাড়ছে বলে অনুমান মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গুর চিকিৎসার পরিকাঠামো বাড়ানো হয়েছে। তবে সাধারণ স্তরে যে সচেতনতা সেভাবে বাড়েনি, তা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এবার জোর দিয়েছেন নাগরিক সচেতনতায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.