সংবাদ প্রতিদিন ডাজাটাল ডেস্কঃ ডাক্তারির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট বা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিভ্রাটে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় মানব-সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এ ব্যাপারে চিঠি লিখলেন তিনি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে, শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি, দাবি করা হয়েছে, যে ৮০ জন পরীক্ষার্থী ফটোকপি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের জন্য বিকল্প পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
[ চলন্ত মেট্রোয় যুবতীকে হেনস্তা, অশালীন ইঙ্গিত করে গ্রেপ্তার যাত্রী ]
নিট পরীক্ষা নিয়ে রবিবার দিনভর হুলস্থূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। কোথাও মাতৃভাষায় পর্যাপ্ত প্রশ্নপত্র ছিল না, তো কোথাও আবার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দিয়ে নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষা। কলকাতার কাশীপুরের একটি সরকারি স্কুলে পর্যাপ্ত প্রশ্নপত্র মেলেনি এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে ৬০০ জন পরীক্ষার্থীর আসন থাকলেও প্রশ্নপত্র এসেছিল ৫২০টি। এরপরেই স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রশ্নপত্র না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। যদিও সমস্যা সমাধানের কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছেন না পরীক্ষার্থীরা। কারণ তাঁরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক প্রশ্নপত্রে একটা আলাদা কোড ও সিরিয়াল নম্বর থাকে। ফল প্রকাশের সময় যা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফটোকপি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার ফলে সেক্ষেত্রে কী হবে বুঝতে পারছেন না ওই ৮০ জন পরীক্ষার্থী।
[ তৃণমূল প্রাণনাশের হুমকি দেয়নি, সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ কথা নির্বাচন কমিশনারের ]
পাশাপাশি, হুগলির কোন্নগরে একটি বেসরকারি স্কুলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছিল, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় পর্যাপ্ত প্রশ্নপত্র থাকলেও বাংলা ভাষায় প্রশ্নপত্র যথেষ্ট প্রশ্নপত্র ছিল না। একাধিক পরীক্ষার্থী বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্রের আবেদন করলেও তা মেলেনি। ফলে তাঁদের ইংরেজি প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগ তাঁর চিঠিতে লিখে কেন্দ্রীয় মানব-সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এর জন্য পরীক্ষার্থীদের উপর যেন কোনও প্রভাব না পড়ে। সকলে যেন সমান সুযোগ পায়। এই পরীক্ষার বন্দোবস্ত করে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। মমতার দাবি, প্রয়োজনে রাজ্যের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশনের ব্যবস্থা করা হোক। দরকার পড়লে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হোক। কিন্তু কোনওভাবেই যেন পরীক্ষার্থীদের কোনও ক্ষতি না হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.