গৌতম ব্রহ্ম: নদীভাঙনের (River Erosion) সমস্যায় জর্জরিত বাংলার নদী তীরবর্তী জেলাগুলি। সারা বছর এই সব জেলার মানুষজন আতঙ্কে থাকেন, ক্ষতিগ্রস্ত হন। সমাধান চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জলশক্তি মন্ত্রক যাতে এ বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই আবেদন রয়েছে চিঠিতে। গঙ্গা, পদ্মা, ফুলহার নদীতীর ভাঙনেই সর্বাধিক সমস্যা তৈরি হয়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া – এই তিন জেলার তীরবর্তী বাসিন্দারা প্রায় সারা বছর ধরেই ভাঙনের কবলে পড়েন। রাতারাতি ঘরবাড়ি হারিয়ে, বাস্তুচ্যুত হতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়ে মোদিকে (PM Modi) চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, বাংলার মতো নদীমাতৃক রাজ্যে গঙ্গার (River Ganga) উপর জীবন-জীবিকা নির্ভর করে। এছাড়া রয়েছে ভাগীরথী, ফুলহার নদীও। গঙ্গার জলকে কাজে লাগাতে কেন্দ্র ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণ করেছে। এই ব্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রেরই। কিন্তু সম্প্রতি মোহনায় প্রচুর পলি জমার ফলে নদীর প্রবাহ অন্যদিকে বইছে। যার জেরে বাংলার বিস্তীর্ণ অংশ তো বটেই, বিহারের একাংশও প্লাবনের কবলে পড়ে। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, মালদহের (Maldah) মানিকচকের বিলাইমারি গ্রামের কথা উল্লেখ করেন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও প্রস্তাব, ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট টিম এবং জলশক্তি মন্ত্রক যৌথভাবে পাকাপোক্ত কোনও পরিকল্পনা করুক। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হোক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন এদিনের চিঠিতে। এখনও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিপ্রাপ্তি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের তরফে। উল্লেখ্য, প্লাবনের জন্য প্রায়শয়ই ডিভিসিকে দায়ী করে রাজ্য সরকার। ডিভিসির পরিকল্পনাহীন ভাবে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.