ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ আরও বাড়াতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”সীমান্ত তৃণমূল বা পুলিশ পাহারা দেয় না। পাহারা দেয় বিএসএফ। আর তারাই অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। ডিজি রাজীব কুমার এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় স্তরেও কিছু কিছু তথ্য মিলেছে। আমাকে সেসব তথ্য সবিস্তারে দেওয়া হোক। আমি এনিয়ে কেন্দ্রকে বড় চিঠি লিখব। আগেও বারবার কেন্দ্রকে এনিয়ে আমি বলেছি।”
বছরের দ্বিতীয় দিনই নবান্নে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই একের পর এক ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। জমি বেদখল থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার ঢিলেঢালা সুরক্ষা, সব কিছু নিয়েই পুলিশকে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। তিনি বলেন, ”জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব জেলার এসপি-দের। আর জেলাশাসকরা বিএসএফ-কে সাহায্য করছেন। তাঁদের কেউ কেউ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না।”
পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিএসএফ-কে কার্যত তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”বিএসএফের ভিতরের লোকজন অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। সীমান্ত তো পুলিশ পাহারা দেয় না। সীমান্ত পেরিয়ে এসে কেউ কেউ অপরাধমূলক কাজ করে চলে যাচ্ছে। খুনও হয়ে যাচ্ছে। আসলে এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মালদহ, নদিয়া দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এনিয়ে আমি বারবার কেন্দ্রকে বলেছি। এবার আমি বড় চিঠি লিখব।” এ প্রসঙ্গে মমতা উল্লেখ করেছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মালদহের ইংরেজবাজারের তৃণমূল কাউন্সিলরের মৃত্যুর কথা। দীর্ঘদিনের সহকর্মীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে মমতা কার্যত পুলিশকেই দায়ী করলেন। বললেন, ”আজ পুলিশের গাফিলতিতেই আমাদের সহকর্মী, তৃণমূল কাউন্সিলরকে এভাবে খুন হতে হল।” এনিয়ে মালদহের এসপি-র নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.