দীপঙ্কর মণ্ডল: মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শুরু আগেই ভবানীপুর গার্লসে হাজির হয়ে পড়ুয়াদের চমকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ মুহূর্তে যখন বইয়ে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিল পড়ুয়ারা তখনই ভীতি কাটাতে পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেচ্ছা জানালেন পরীক্ষার্থীদের। সব রকম পরিস্থিতিতে প্রশাসন পাশে থাকবে, অভিভাবকদের এমন আশ্বাস দিয়েই স্কুল ছাড়েন তিনি।
মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক। বুধবার দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কলকাতা-রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাধ্যমিক কেন্দ্র তো বটেই তার আশপাশ অঞ্চলেও উচ্চস্বরে মাইক বা লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না। এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বারংবার মনে করিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। শিক্ষকরাও কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। জেলার কয়েকটি স্কুলে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর খবরও মিলছে।
রয়েছে যানবাহন সংক্রান্ত সুবিধা অসুবিধার বিষয়। পরীক্ষা উপলক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে পরিবহন দপ্তর। রয়েছে জলপথ ও স্থলপথে অতিরিক্ত অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থা। জেলার পাশাপাশি কলকাতার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় থাকবে। যাতায়াতের সমস্যা হলে সামনে যে ট্রাফিক পুলিশকর্মী থাকবেন, তাঁর কাছেই যেন পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবকরা যান। তিনি সাহায্য করবেন। সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রুখতেও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদও। কিন্তু তা যে আদৌ কার্যকর হয়নি প্রমাণ মিলেছে প্রথমদিনের পরীক্ষা শেষের পরই। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.