সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে দশ-দশটা বছর। বাংলার রাজনৈতিক, সামাজিক ইতিহাসে সিঙ্গুর (Singur) জমি আন্দোলন পা দিয়েছে ১০ বছরে। তবে এক দশক পরও দেশে কৃষকদের পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি, টুইটে তা ফের তুলে ধরে সোচ্চার হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সিঙ্গুর আন্দোলনের দশম বর্ষ পূর্তিতে তিনি টুইটে কার্যত আক্ষেপ প্রকাশ করে জানালেন, ”কেন্দ্রের উদাসীনতার কারণে দেশের কৃষকরা দুর্দশায় রয়েছেন। তা আমাকে ব্যথিত করছে। আসুন, সমাজের মেরুদণ্ড কৃষক শ্রেণির উন্নয়নের স্বার্থে এক হয়ে লড়াই করি। তাঁদের ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য হোক।”
On this day, ten years back, the Singur Land Rehabilitation and Development Bill 2011 was passed in the WB assembly after a long & difficult struggle.
We unitedly fought for the rights of our farmers & addressed their grievances, bringing in positive change in their lives. (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 14, 2021
সোমবার বেলার দিকে দুটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী।২০১১ সালের এই দিনই সিঙ্গুর জমি সুরক্ষায় বিল (Singur Land Rehabilitation and Development Bill 2011) পাশ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। প্রথম টুইটে তিনি সেদিনের ইতিহাসের কথা জানিয়েছেন। লিখেছেন, সেই ঘটনা বাংলার কৃষকজীবনে বড়সড় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল। পরের টুইটিতেই তিনি আজকের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। জানান, আজ কেন্দ্রীয় নীতি, কেন্দ্রের উদাসীনতা – এসবের কারণে দেশের কৃষকরা মোটেই ভাল নেই। তাঁদের দুর্দশা দেখে বেদনায় ভারাক্রান্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে কৃষক ঐক্যে জোর দিয়ে এই শ্রেণির আন্দোলনকে সমর্থনের জন্য সব পক্ষের কাছে বার্তা দিয়েছেন নেত্রী।
Today, it pains me that across the nation our farmer brethren are suffering owing to the indifference of the Centre.
Together, we shall continue our fight to ensure the well-being of the very backbone of our society. Upholding their rights remains a top priority. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 14, 2021
প্রসঙ্গত, এই জমি আন্দোলন তথা কৃষক’বন্ধু’ ইমেজের উপর ভর করেই বাংলার রাজনীতিতে উত্থান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। ২০১১ সালের সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের। বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি দখল করতে সক্ষম হন তিনি। এরপর যখনই যেখানে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন, সকলের আগে পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনকে (Farmers’ law) ‘কৃষক বিরোধী’ অ্যাখ্যা দিয়ে গত বছর যখন দিল্লির রাজপথে বড় আন্দোলনে শামিল হয়েছিলে পাঞ্জাব-হরিয়ানা-রাজস্থানের হাজার হাজার কৃষক, তখনও বাংলা থেকে তাঁদের পাশে থাকতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন নেত্রী। ফোনে কথা বলে কৃষক নেতাদের আশ্বস্ত করেছিলেন।
সম্প্রতি ভারতীয় কিষাণ মোর্চার প্রধান রাকেশ টিকাইত নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। তাঁকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনেও মুখ্যমন্ত্রী কৃষক ঐক্যে বারবার জোর দিয়েছিলেন। এরপর সিঙ্গুরে জমি বিল পাশ হওয়ার ১০ বছর পূর্তিতে জোড়া টুইটেও সেই একই বার্তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.