সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টের সাক্ষী ইডেন। শহরে বসেছে চাঁদের হাট। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালেই দমদম বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। হাজারও ব্যস্ততার মাঝে এদিন সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন তিনি। কী কী আলোচনা হবে ওই বৈঠকে সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে গোলাপি টেস্টের দিন তিনবার দেখা হবে তাঁর। ইডেনে একসঙ্গে বেল বাজিয়ে ঐতিহাসিক টেস্টের উদ্বোধন করেন মমতা এবং হাসিনা। সন্ধেয় তাজ বেঙ্গল হোটেল এবং তারপর ইডেনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেখা হবে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় কুড়ি মিনিট মতো একান্তে সাক্ষাৎ হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ওই সীমিত সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়েই মূলত আলোচনা হবে। তবে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তিস্তা নিয়ে মোদি সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কয়েকমাস আগে এ বিষয়ে সহমত তৈরির জন্য দিল্লি সফরের সময় মোদি সরকারের তরফে আশ্বস্তও করা হয়েছে হাসিনাকে। তাই তিনি নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি কথা নাও বলতে পারেন। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দু’জনের। রাজ্যের স্বার্থের কথা ভেবে তিস্তা চুক্তির বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মনোমালিন্য যাই থাক না কেন মমতা এবং হাসিনার সম্পর্ক বরাবরই সুমধুর। সেই সম্পর্ক যাতে কোনওভাবেই ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে নজর রাখবেন মমতা-হাসিনা দু’জনেই।
কলকাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই বাড়িগুলি সংরক্ষণের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রদর্শনশালা তৈরিরও আবেদন জানাতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে আদতে কী আলোচনা হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.