সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সুপ্রিম’ রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের বিষয়টি মানবিকতার স্বার্থে মেনে নিতে পারছেন না, সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী তিনমাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়, দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বলা হোক। এরপর তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে নিয়োগ হবে। কারণ, এসএসসি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না রাজ্য সরকার। এই সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একযোগে নিশানা করলেন বাম-বিজেপিকে। নাম করে তোপ দাগলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বিকাশবাবু কেস করেছিলেন। তাঁর জন্যই আজ এতগুলো চাকরি গেল। উনি তো বিশ্বের বৃহত্তম আইনজীবী। কেন যে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না এখনও… আমি ভাবছি, একটা রেকমেন্ড করব।” এর আগেও একাধিকবার চাকরিতে নিয়োগ জটিলতার জন্য বিকাশরঞ্জনবাবুকে দুষেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও ব্যতিক্রম হল না। তবে এদিন মমতার তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতিকেও। বললেন, ”এই চাকরি বাতিলের পর সুকান্তবাবু বলছেন, অযোগ্য সরকার অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছে। আমাকে টার্গেট করে বলছেন! কেন? আমরা কোন অযোগ্য কাজ করেছি? কে যোগ্য? উনি যোগ্য?” ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের জন্য এবার সরাসরি তিনি বাম-বিজেপিকে দায়ী করলেন।
বিরোধী দলগুলিকে দায়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও বক্তব্য, “শুধু ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল বললে ভুল হবে। কারণ, এঁদের সঙ্গে কয়েক লক্ষ পরিবার জড়িত। মনে রাখবেন, তাঁরা অচল হয়ে গেলে বিজেপি-সিপিএমও সচল থাকবে না। কোনও ঘটনা ঘটলে, দায়িত্ব আপনাদের হবে। আর এসবের জবাব আপনারা পাবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এসব মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ”অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়েই ৭ হাজার অবৈধ চাকরির হদিশ মিলেছিল। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগ্য-অযোগ্য বিভাগ করেননি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.