ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জীবনের মায়ের ভূমিকা কী, তা নতুন করে বলার নয়। আজ বিশ্ব মাতৃদিবসে সেই ভূমিকার কথাই যেন নতুন করে মনে করা। কেউ আড়ম্বর করে এই দিনটি পালন করছেন, তো কেউ চুপিসারেই নিজের মাকে ভরিয়ে দিচ্ছেন ভালবাসায়। কারণ তাঁদের কাছে আলাদা কোনও দিন নয়, প্রতিদিনই মায়ের জন্য। তবু একেকটা দিনের আলাদা কিছু মাহাত্ম্য তো থাকেই। সে কথা মনে রেখেই বিশ্ব মাতৃদিবসে কলম তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ‘মা’ নামে নতুন একটি কবিতা তিনি টুইট করেছেন।
পাঁচ স্তবকের কবিতা ‘মা’। জীবনে মায়ের ভূমিকা কী, তা নিয়ে চর্বিতচর্বণ নয়, বরং তার ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে ‘মা’ শব্দের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর অনুভূতি, আবেগের কথা। কবিতাটি শুরু হয়েছে ”যতই দেখি ততই জানি/মা আমাদের আশ্বস্ত বাণী/অফুরন্ত মায়ের ভালবাসা/আমাদের জোগাড় বাঁচার আশা।” এরপর কবিতা এগিয়েছে অনুভূতিতে ভর করে। মাকে নিয়ে তাঁর নিজের স্মৃতি, মনের কথা উঠে এসেছে। জীবনের সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতায় কীভাবে মা বটবৃক্ষের মতো সন্তানদের আগলে রাখেন, কবিতার একেকটি স্তবকে তা স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু মাকে কাছে পাওয়ার আনন্দই নয়, মাতৃহীনদের কথাও উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতায়। তাই তো লিখেছেন – ”মা যার নেই সে বড় একেলা/ব্যথার সময় যায় না দুঃখকে ভোলা।” তারপরই উঠে এসেছে মায়ের আশীর্বাদের কথা – ‘মায়ের ডাক আসল ডাক/ পিছু ডাকলেও আশীর্বাদ’। বর্তমান সময়ে মা-বাবার প্রতি সন্তানদের অবজ্ঞার কথাও আর গোপন থাকে না। সেই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথাও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখেছেন – ”মা কে যারা ভালবাসে না/ স্নেহ কি জিনিস তারা জানে না।”
আসলে বছর কয়েক আগে মাকে হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায়শয়ই আবেগপ্রবণ হয়ে নিজের মায়ের কথা বলেন তিনি। মা তাঁকে বরাবর লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। এমনকী প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মা তাঁকে হাতখরচ দিতেন, তাও বারবার শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। ফলে স্বভাবতই আজকের দিনে মাকে হয়ত একটু বেশিই মনে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.