তরুণকান্তি দাস: গতকালই রাতে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফের কিছু কর্মী। বুধবার নবান্নে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গেলেন সেখানে। কথা বললেন কয়েকজনের সঙ্গে। আশ্বস্ত করলেন নিরাপত্তার সমস্ত বন্দোবস্ত নেওয়া হবে। পুলিশকর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সমস্ত ঝুঁকি নিয়েও সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের পাশে রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও রকম ঢিলেমি দেয়নি রাজ্য। আগামী দিনেও তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের ওই বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন ডিভিশনে লকডাউন সফল করতে সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই খালি হাতে ডিউটি করতে হচ্ছে তাঁদের। যেসব পুলিশকর্মীদের সংক্রমণ হয়েছে তাঁদের চিকিৎসার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি সামলাতে তখন ডিভিশনাল কমিশনার এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গেই অন্যান্য পুলিশকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। এমনকি মিলছে না পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজারও। তাঁদের মূল অভিযোগ ডিসি কমব্যাট ফোর্সের বিরুদ্ধেই।
রাতেই পুরো ঘটনাটি নগরপাল অনুজ শর্মাকে জানানো হয়। কী কারণে এই বিক্ষোভ তা খতিয়ে দেখতে রাতেই বৈঠক হয়। যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কানে যেতেই তিনি বুধবার নবান্ন যাওয়ার পথে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে যান। কথা বলে বিক্ষুব্ধ পুলিশকর্মীদের সঙ্গে। আশ্বস্ত করলেন নিরাপত্তার সমস্ত বন্দোবস্ত নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.