প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়েই বাড়ির কালীপুজো ছেড়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর হাত ধরে কার্যত রাজনীতির লড়াইয়ের ময়দানে পা রেখেছিলেন তিনি, সেই অভিভাবকসম সহযোদ্ধাকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আমার জীবনে আমি অনেক দুর্যোগ দেখেছি। সুব্রতদার মৃত্যুটা আমার কাছে ভীষণ ভীষণ বড় দুর্যোগ। সুব্রতদার মত মানুষ এত হাসিখুশি, এত কর্মঠ এবং দল অন্তঃপ্রাণ। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র অন্তঃপ্রাণও ছিলেন। এভারগ্রিন ক্লাব ছিল সুব্রতদার প্রাণ। এমন মানুষ আর হবে কি না সন্দেহ আছে। আমি গোয়া থেকে ফিরে প্রথমেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসি। সেদিনও আমার সঙ্গে কথা হল, হাসল। বলল, আমি আবার জেলায় জেলায় যাব। সন্ধ্যায় হাসপাতালে প্রিন্সিপাল আমার বাড়ির কালীপুজোয় গিয়েছিলেন। বললেন, ভাল আছেন। কাল বাড়ি যাবেন। তার মধ্যেই হঠাৎ করে বিরাট হার্ট অ্যাটাক। যেটা ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারেননি।
একবার দার্জিলিংয়েও হয়েছিল এরকম। খুব কষ্ট করে বাঁচিয়ে এনেছিলাম। হার্টের ব্যাপারটা এমনই, যখনই সমস্যা হয় তখন দেখে নিতে হয়। আগেই যদি অবহেলা না করে একটু দেখিয়ে নিতেন তাহলে হয়তো এই ভাবে চলে যেতে হত না। ওঁর স্ত্রী খুব চেষ্টা করতেন। ছন্দবাণী বউদিকে আজ বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম। বউদি সুব্রতদার জন্য যা করতেন, তার তুলনা হয় না।
সুব্রতদা ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থেকেছেন। সেই সময় থেকেই আমি তাঁর সঙ্গে থেকেছি, তাঁর নেতৃত্বে বড় হয়েছি। সুব্রতদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ছিল। তিনি আমার অগ্রজ ও অভিভাবকতুল্য ছিলেন। তাঁর প্রয়াণ আমার কাছে এক বিরাট ক্ষতি শুধু নয়, রাজ্যের তথা দেশের রাজনৈতিক জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.