ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গ্রামীণ এলাকার কাজকর্মেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) মূল্যায়ন হয়ে থাকে। সেদিকে সদাসতর্ক রাজ্যের শাসকদল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাই গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নের কাজে বেশি জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বুথকর্মীদের সম্মেলনে তিনি সাংসদ, বিধায়কদের গাইডলাইন বেঁধে দিলেন তিনি। বললেন, ”MLA, MP LAD’এর টাকা খরচ করুন আবাস যোজনায়। বাংলার বাড়ি, গ্রামীণ সড়ক যোজনায় কাজে লাগান সেই টাকা। এটা আমার গাইডলাইন ভেবেই নিন।”
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির মধ্যে সম্প্রতি বিরোধের সুর চড়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Narendra Modi) চিঠি দেওয়ার পর দিল্লি গিয়ে দরবারও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হিসেবনিকেশ দিয়ে এসেছেন। টাকা না পাওয়ায় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে MGNREGA প্রকল্পের কাজ। আর কেন্দ্রের পালটা অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রাজ্য নিজের নামে চালাচ্ছে। দিল্লির পাঠানো টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। উন্নয়নমূলক প্রকল্পেও রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই।
তার মধ্যেই সাংসদ, বিধায়ক তহবিলের টাকা কীভাবে খরচ করা হবে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই গাইডলাইন দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে তাঁর পরামর্শ, ”MLA, MP-রা তহবিল থেকে যে টাকা পান নিজের নিজের এলাকার উন্নয়নে খরচের জন্য, সেই টাকা খরচ করুন আবাস যোজনায়। বাংলার বাড়ি, গ্রামীণ সড়ক যোজনায় কাজে লাগান সেই টাকা। পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বানাতে খরচ করুন। জেলা পরিষদ আর পঞ্চায়েত সমিতির ১৫% টাকা দিয়ে গ্রাম সড়ক আর বাংলার বাড়ি করে দেবেন।”
বুধবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন। নবান্ন থেকে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক স্তরে আরও স্বচ্ছতার কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, পঞ্চায়েত স্তরে ১ লক্ষ টাকার বেশি যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পগুলিকে বন্ধ করে রাখা যায় না। তাই বিকল্প পথে রাজস্ব বাড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, স্বচ্ছভাবে যেখানে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বাড়াতে হবে। শুধু জেলাশাসকদের নয়, রাজ্যের মন্ত্রীদেরও আলাদা করে লিখিতভাবে রাজস্ব প্রস্তাব জানাতে বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.