ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে কুকথা যেন লেগেই রয়েছে। বারবার শাসক দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছেন বিজেপি নেতারা। তার জেরে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করছে পুলিশ। তবে তা সত্ত্বেও যেন কুমন্তব্যে রাশ টানা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নাম না করে বিজেপি নেতাদের বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
দিনকয়েক আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, “বদলা চাই। বদলও চাই।” আবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) সরাসরি আক্রমণ করে বসেছেন বারাসতের পুলিশ সুপারকে। তাঁকে চড় মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) আবার তারও একধাপ উপর দিয়ে চলেন। তিনি সরাসরি থানা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। বারবার এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও কুকথায় রাশ টানা যায়নি। বরং যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন কুকথা বলে চলেছেন গেরুয়া শিবিরের সৈনিকরা। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে বিজেপিকে (Bharatiya Janata Party) খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ভাষার সন্ত্রাস মহামারী আইন ভাঙছে।”
পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজুর বিষয় নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বিজেপি। এছাড়া জমায়েত নিয়েও তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা নতুন নয়। তৃণমূলের জমায়েতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিজেপির। বারবারই উর্দিধারীদের ভূমিকা নিয়ে সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। এই অভিযোগেরও পালটা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরোক্ষে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “শ্রাবণী মেলা বন্ধ রয়েছে। বিয়েবাড়িতে লোক ভিড় করছেন না। তাহলে দলীয় জমায়েত কেন করতে হবে? রাজনৈতিক দল নিয়ম মানছে না। জমায়েত করছে। ভাঙচুর করছে। তাই এফআইআর করা হচ্ছে।” পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগেও সরব হন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “প্রাপ্য টাকা না দিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করছে, এটা কিন্তু মানুষ মেনে নেবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.