সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুকীর্তিতে জড়িত থাকে পুলিশকর্মীদের কেউ কেউ, আর বদনাম হয় তৃণমূল নেতাদের। নিচুতলার পুলিশের একাংশ সিআইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কয়লা-বালি পাচারের যুক্ত। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে একদল পুলিশের বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি নিশানা করলেন পুলিশকর্মীদের একাংশকে। তবে কার্যত ক্লিনচিট দিলেন পুলিশের উপরতলার কর্তাদের। তাঁর মন্তব্য, ”নিচুতলার পুলিশের একটা অংশ সরকারকে ভালোবাসে না, মান-সম্মান নিয়ে ভাবে না। শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখে।” সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, তাঁকে জানান। অন্যায়কারীদের কড়া শাস্তি হবে। বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র খোলনলচে বদলে দেবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কয়লা-বালি পাচারের ঘটনায় প্রায়ই তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকার তৃণমূল নেতাদের মদতেই সক্রিয় পাচারকারীরা। শাসকদল বার বার সেসব অভিযোগ খারিজ করে পালটা যুক্তি দিয়েছে, কয়লাখনির নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের নয়, তা কেন্দ্রের সিআইএসএফের। ফলে সেখানে অবৈধ কারবারের দায় কখনও রাজ্য নেবে না, কেন্দ্রকেই দায় নিতে হবে। রাতের অন্ধকারে যদি কয়লা বা বালি পাচার হয়, তাতে সিআইএসএফেরই হাত থাকে। এদিন ফের সিআইএসএফ-কেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে নিশানা করলেন পুলিশকর্মীদের একাংশকে। অভিযোগ তুললেন, ওই সিআইএফএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের কেউ কেউ দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত।
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজীব, তুমি হয়তো চেষ্টার কসুর করছো না। কিন্ত সরি টু সে, নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের অনেকেই নানা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক নেতা ৫ টাকা খেলে বলা হয় ৫০০ টাকা খেয়েছে! নেতারা টাকা খাওয়ার আগে তবু ভাবে। নিচুতলার কিছু কর্মী এবং পুলিশের লোক, যারা সরকারকে ভালোবাসে না, তারা এসব নিয়ে ভাবে না। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থটা দেখে।’’
ভিনরাজ্য থেকে দুষ্কৃতীদের যাতায়াত নিয়ে বরাবর উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও সেই উদ্বেগ প্রকাশ করে সীমানা এলাকার নাকা চেকিং বাড়ানোর কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”দরকার হলে আমার গাড়িরও নাকা চেকিং হোক। এতে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আর সীমান্তে তো বিএসএফ আছে। তাদেরও নজরদারি বাড়াতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.