কলহার মুখোপাধ্যায়: শহরে ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু। এবারও সেই বিধাননগরের দত্তাবাদ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল বছর দশেকের এক শিশুর। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। জমা জলের বংশবিস্তার করছে মশা। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বহুবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকেরা।
[শহরে ফিরল ডেঙ্গু আতঙ্ক, মৃত্যু চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার]
বর্ষার শুরু হতেই ফের শহরে ডেঙ্গুর আতঙ্ক। কয়েক দিনের ব্যবধানের বিধানগর পুরনিগমের ৩৯ ওয়ার্ডের দত্তাবাদে মারা গেল দু’জন শিশু। ১১৫ নম্বর দত্তাবাদ রোডে বাড়ি আকাশ চৌধুরির। স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গত চার-পাঁচ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল আকাশ। বুধবার তার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে সেদিনই বছর দশেকের ওই শিশুকে ভরতি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে আকাশ শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। হাসপাতাল থেকে তাঁদের রক্ত আনতে বলা হয়। কিন্তু রক্ত নিয়ে যখন এনআরএস হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের লোকেরা, ততক্ষণে মারা গিয়েছে আকাশ। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকেরা। ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বিধাননগর পুরনিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ রাজেশ চিরিমার।
দিন কয়েক আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে সল্টলেক সাউথ পয়েন্ট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র নারায়ণ শ্রেষ্ঠ। সে-ও দত্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিল। ডেঙ্গূতে পরপর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দত্তাবাদের নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যায়। সেই জমা জলে মশা বংশবিস্তার। এলাকায় ছড়াচ্ছে ডেঙ্গুর মতো রোগ। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। স্রেফ রাস্তার জমা জলটুকু সরিয়ে দায়ে সারছেন কাউন্সিলর, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের
[ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে গিয়ে ট্যাঙ্কারের চাকায় পিষ্ট পুলিশকর্তা, সিসিটিভিতে দুর্ঘটনার ছবি
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.