ফাইল ছবি।
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) আক্রমণের প্রতিবাদে সরব গোটা রাজ্যের বিজেপি-কর্মী-সমর্থকরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে নবান্ন অভিযানের চেষ্টা করে কলকাতার বিজেপি কর্মীদের একাংশ। তবে পথেই তাঁদের বাধা দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় বিজেপি কর্মীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর গাড়িতে। গোটা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের কর্মীদের। এই আক্রমণের ঘটনার পরই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে চলে বিক্ষোভ। একই ছবি দেখা যায় কলকাতাতেও। এদিন দুপুর নাগাদ কলকাতার ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা নবান্নের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর (Vidyasagar Setu) উপর তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। সেখানেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। একইভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পথে নামতে হয় পুলিশকে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদকে আক্রমণের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আজ বাজারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে তাতে থামব না। আবার মর্নিং ওয়াকে যাব। ওই দোকানে চা-ও খাব। আক্রমণ করা হলে পালটাও দিতে প্রস্তুত রয়েছি।” প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে সাংসদে আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই দিলীপ ঘোষকে ফোন করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর শরীরের পরিস্থিতির পাশাপাশি, এদিন ঠিক কী হয়েছিল সবিস্তারে তাও শোনেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.