রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মৃত বিজেপি (BJP) নেতার দেহ নিয়ে মিছিল চলাকালীন তীব্র উত্তেজনা ছড়াল কালীঘাটে (Kalighat), মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে। রাস্তার উপর বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং, ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। পৌঁছে যান আইপিএস আকাশ মেঘারিয়াও। দ্রুত বিজেপি নেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে ভর সন্ধেবেলায় এ ধরনের অশান্তির ঘটনায় যানজট রয়েছে এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ মৃতদেহের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছিল, তাই অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বুধবারই নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাটের বিজেপি নেতা মানস সাহার। অভিযোগ, গত ৩ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তাঁর উপর হামলা হয়। মাথায় আঘাত নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরও অসুস্থ হওয়ায় দিনকয়েক আগে ফের হাসপাতালে ভরতি হন। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁর শেষকৃত্য ছিল। এদিন মানস সাহার দেহ প্রথমে আনা হয় কলকাতায় বিজেপির অফিসে। সেখান থেকে বিজেপি নেতারা তাঁর মৃতদেহ নিয়ে মিছিলের পরিকল্পনা করেন।
এরপর সন্ধে নাগাদ মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোতেই তা আটকায় পুলিশ। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের। সুকান্ত মজুমদার-সহ একাধিক নেতা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ অনেক নেতাই বিক্ষোভে শামিল হন।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকা অর্থাৎ হাই সিকিউরিটি জোনের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ তাঁদের সরানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ডিসি, সাউথ আকাশ মেঘারিয়া। তাঁর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুলিশের বিরুদ্ধেই পালটা অভিযোগে সরব হয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশ বিজেপি নেতার মৃতদেহ ‘হাইজ্যাক’ করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.