ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: দিন কয়েক আগে মানিকতলায় (Maniktala) অটো থেকে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। এই ব্যাপারে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে ভিকি, বান্টি-সহ তিনজনকে মানিকতলা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে জগন্নাথ ওরফে ভিকি সিভিক ভলান্টিয়ার। সে এন্টালি থানায় কর্মরত। তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের হয়।
সম্প্রতি মানিকতলার বাগমারি রোডের কাছে অটোর ভিতর থেকে উদ্ধার হয় অমরনাথ প্রসাদ ওরফে পাপ্পু নামে এক যুবকের দেহ। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ জানান, মোবাইল চোর সন্দেহে ওই যুবককে মারধর করা হয়। তাঁর কাছ থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইলের হদিশ চায় এলাকারই কয়েকজন যুবক। কিন্তু মোবাইল কোথায়, তা বলতে পারেননি তিনি। এরপরই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ।
প্রথমে চড়-থাপ্পর মারা হয়। তার পর প্রায় সারারাত ধরে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করা হয় যুবককে। তাঁর পেটে ঘুসিও মারা হয়। করা হয় পদাঘাতও। যন্ত্রনায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। ভোরের দিকে তাঁকে অটোর মধ্যে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরের দিন দেহটি উদ্ধার করেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা। দেহের ময়নাতদন্তের পর মতামত জানাতে সময় নেন চিকিৎসক। শনিবার চিকিৎসকদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, যুবকের দেহ আভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই আঘাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের মতে, এমনভাবে যুবককে মারধর করা হয় যাতে বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও, শরীরের কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আঘাত লাগে। এই ব্যাপারে বাগমারি এলাকারই এক যুবক মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই এলাকার বাসিন্দা বান্টি, নিলু, ভিকি ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তারই ভিত্তিতে মারধর ও অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়।
সূত্রের খবর, ভিকি নামে ওই যুবক এন্টালি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ার সুবাদে এলাকায় নিজের ক্ষমতা জাহির করত। নিজেকে ‘পুলিশ’ বলেও পরিচয় দিত। তার আচরণে এলাকার অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। ধৃতরা অন্য কোনও অপরাধের অঙ্গে জড়িত কি না, তা তাদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.