গ্রেপ্তার CISF আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
বিধান নস্কর, বিধাননগর: এ যেন রিয়েল লাইফের ‘স্পেশাল ২৬’! রিল লাইফে ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে ব্যবসায়ীদের বাড়িতে হানা দিত প্রতারকরা। আর বাস্তবে মাঝরাতে ভুয়ো আয়কর আধিকারিক সেজে প্রোমোটারের বাড়িতে অভিযান চালাল সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর, কনস্টেবলরা। লুট হল লক্ষাধিক নগদ ও প্রচুর সোনার গয়না। ঘটনাটি ঘটেছিল চিনার পার্ক এলাকায়। তবে তদন্ত শুরু হতেই ফাঁস হল প্রতারণার জাল। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে CISF ইন্সপেক্টর, ৪ কনস্টেবল। মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৮ তারিখ রাত দুটোয় চিনার পার্ক এলাকার এক মৃত প্রোমোটারের বাড়িতে আয়কর আধিকারিক সেজে হাজির হয় কয়েকজন। বাড়ির দরজায় বেল বাজায়। দরজা খুলতেই ঘরের ভিতরে ঢুকে প্রথমেই পরিবারের সকলের মোবাইল কেড়ে নেয় তারা। তারপর প্রোমোটারের মায়ের ঘরে ঢোকে। সেখানে তল্লাশির নামে লুটপাট চালায়। নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও ২০ ভরি সোনার গয়না লুট করে বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রোমোটারের সৎ মা আরতি সিংয়ের ঘরে ঢুকলেও কিছু নেয়নি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কাগজে সই করিয়ে নেয় ভুয়ো আয়কর আধিকারিকরা।
এই ঘটনায় মৃত প্রোমোটারের মেয়ে বাগুইআটি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ভুয়ো আধিকারিকদের ব্যবহার করা গাড়ি চিহ্নিত করে চালক দীপক রানাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ। তখনই ঘটনাটি জানাজানি হয়। সেই মতো সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজের সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর অমিতকুমার সিং, আর জি করের সিআইএসএফ লেডি কনস্টেবল লক্ষ্মী কুমারী, কনস্টেবল বিমল থাপা, হেড কনস্টেবল রামু সরোজ এবং কনস্টেবল জনার্দন শা-কে। তদন্তকারী আধিকারিকরা এরপরই জানতে পারে ভুয়ো আয়কর বিভাগের কর্মী পরিচয় দিয়ে লুটপাট চালাতে এসেছিল তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রোমোটারে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও গাড়ির চালককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.