সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার সিআইডির (CID) নজরে আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর ও ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী। রবিবার সকালে দেবাশিস ও সুদীপ্তবাবুর অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালায় আধিকারিকরা। যদিও তল্লাশিতে কিছু পাওয়া যায়নি বলেই দাবি সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর আইনজীবীর। তবে দশ ঘণ্টা তল্লাশির পর সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বাড়ি থেকে ২৮০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে সিআইজি সূত্রে খবর।
হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় রবিবার সল্টলেকের ৫ জায়গায় হানা দেয় সিআইডি। ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী ও আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরের বাড়ি ও অফিসে হানা দেন আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকবছরে নাকি ৫ গুণ বেড়েছে আইপিএস দেবাশিস ধরের সম্পত্তির পরিমাণ। ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী নাকি দেবাশিসের ঘনিষ্ঠ। এই সম্পত্তি বৃদ্ধির পিছনে নাকি হাত রয়েছে সুদীপ্তর। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে বারাকপুরে দায়ের হয়েছিল মামলা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন চলে তল্লাশি অভিযান।
এ বিষয়ে সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর আইনজীবী জানান, “সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে বারাকপুর কমিশনারেটে একটি মামলা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তল্লাশি চালায় সিআইডি। কিন্তু কিছু উদ্ধার হয়নি। তল্লাশির পর নিয়ম অনুযায়ী, সিজার লিস্ট নিরাপত্তারক্ষীকে দিয়ে যায়।” তবে তল্লাশিতে একাধিক নথি ও ২৮০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। এদিকে গত শুক্রবার পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা মোমবাতি বিক্রেতা অমল সেনের বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার দু’ জন আধিকারিক। ওই ব্যবসায়ীর ব্যাংক লেনদেনের উপর নজর তদন্তকারীদের।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারের পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন দেবাশিস ধর। গতবছর বিধানসভা ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচির জোরপাটকিতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই সময় দেবাশিসবাবু কোচবিহারের পুলিশ সুপার। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই তাঁকে পাঠানো হয় কম্পালসারি ওয়েটিং-এ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.